নিঃসঙ্গতায় আমি হেঁটে চলেছি পথের ধুলোয়,
বাতাসে ভেসে আসে তার মুখের নীরবতা,
তার সাথে হয়েছিল ভাব,
যার চোখে ছিল বিষন্নতার নদী, ঠোঁটে ছিল না ভাষা।
সে পেত ভয় কথা বলতে,
তার ঠোঁট কাঁপত অজানা শীতে।
হয়তো হারানোর ভয় ছিল, সমাজের কঠিন বাঁধন,
আমার দিকে তাকিয়ে থাকত সে,
কিছু বলতে চাইত,
কিন্তু শব্দগুলো তার বুকের গভীরে চাপা পড়ে যেত বারবার।
আমি চেয়েছিলাম, তার নীরবতার ভেতর ঢুকতে,
তার চোখের ভাষা পড়তে,
তার মনের সুর শোনার চেষ্টা করেছি,
তবুও সমাজের কঠিন দেয়াল,
আমাদের দূরে ঠেলে দিলো,
তার সেই থরথরানো ঠোঁটের কথা হলো না বলা।
আজও যখন রাত নামে,
বাতাসে শুনি তার চাপা কান্না,
বৃষ্টি ঝরার মতো নীরব শব্দে ভিজে যায় আমার বুক।
তবুও জানি, সে ভয় কাটিয়ে কখনো বলবে না,
যার নীরবতায় ছিল এক অজানা ব্যথা।
সে রয়ে গেল দূরে, আমার স্মৃতির মাঝে,
মনের পাঁজর জুড়ে ব্যথা,
যেন পুরনো ক্ষতের গল্প,
যা প্রতিটি রাতের বুকে ভর করে,
মনে করিয়ে দেয়,
কী ছিল, কী হতে পারতো-
সেই ভালোবাসার সুর,
যা আজও অক্ষরবিহীন।