বহুদিন হয়ে গেল, যেদিন সে বিদায় নিল,
দুর্যোধনের মতো সে ছিল অহংকারী,
পাঞ্চালীর মতো তার বুকেও ছিল আগুনের স্পর্শ,
অর্জুনের তীর হয়ে তার হৃদয়ে বিঁধেছিল ভালোবাসা।
তবু সে সুখে নেই, তার হাসিতে নেই কুমকুম রঙ,
শকুন্তলার বনবাসের মতো, তার দিনগুলো নির্জন,
তবু সীতা হয়েও সে পেল না আশ্রয় সুখের।
বিষাদময় সেই দিনগুলো এখন কেবল স্মৃতি,
দ্রৌপদীর মতো তার জীবনেও এসেছে এক নতুন মহাযুদ্ধ,
বুকের মধ্যে সেই কালো ছায়া এখনো বাসা বেঁধে আছে।
হনুমানের মতো বয়ে নিয়ে গেছি প্রেমের বার্তা,
তবু লঙ্কার আগুনে পুড়েছে সে সীতা হয়ে,
রাবণের রাজপ্রাসাদে খুঁজেছে সুখের ছায়া,
কিন্তু সুখ যেন তাকে ছুঁয়েও দেখেনি।
তবুও সে আজ সুখে নেই, তার জীবনের অনলে,
মহাভারতের যুদ্ধের মতো বয়ে চলেছে বেদনা,
রামায়ণের মতো সে খুঁজে ফেরে আশ্রয়,
কিন্তু রামের মতো কাউকে পায়নি সে আর।
তাকে নিয়ে কত ভাবনা, কত স্মৃতি জাগে মনে,
মহাভারত, রামায়ণ—সবই মিশে আছে তার সত্তায়, সে তো আমার সীতা, আমার পাঞ্চালী।
তুমি যে সুখে নেই, সে যেন এক চিরন্তন কাহিনী,
যেখানে বেদনা, প্রেম, আর বিয়োগ মিলে রচিত এক মহাকাব্য।