হাঁটতে হাঁটতে সাদা জামা কাঁদাটে।
আঁশটে বৃষ্টি আর
তাগড়া তাগড়া মেঘের ঝগড়া;
সব কিছু আমার পিছু।
আগে
কখোনো গোলাপের সাথে আলাপ হয়নি।
কখোনো সখ্যে অপেক্ষা করিনি।
কখোনো লজ্জ্বার সজ্জা বুঝিনি।
কারণ আমি আগে কখোনো তুমি রোগে পড়িনি।
কতক্ষণ পরপর নির্বাক আমি দিক-বেদিক
একটা মূর্তি খুঁজি, যা আমার মনপূর্তি করবে।
যার বিয়ারিং বলের মতো চোখ,
চিমটার মতো নখ।
আঙুলগুলোতে ভুল বেশি,
আর চুলগুলো য্যানো এলে বেলে পাটের রশি।
আগে
কখোনো কারো হাসিতে ভাসিনি।
কখোনো কারো কথাতে মাতিনি।
কখোনো কারো রাগে জাগিনি।
কারণ আমি আগে কখোনো তুমি রোগে পড়িনি।
আমি নিরাশ হয়ে হয়ে দীর্ঘশ্বাঃস ছাড়ি।
ফুল, অপেক্ষা, পরিশ্রম সব গেলো বাড়ি।
স্মৃতি, অনুভূতি সব হয়ে গেলো আধমরা;
অতঃপর বনলতা তুমি রয়েই গেলে অধরা।
(আশ্বিন ২৭, ১৪২২)