আমার অনুভূতির স্মৃতি মাড়িয়ে, আমাকে ঘৃণার বক্ষে জড়িয়ে, যাচ্ছো আবার উষ্টা মেরে দৌড়িয়ে।
হয়তো সিড়ি পেরিয়ে পার পাবে,
তবে করিডোর ভরে থাকবে লাল পঁচা কৃষ্ণচূঁড়া,
এরা আবার তোমাকে আমার ভয় দ্যাখাবে,
এভাবেই কি তবে হবে সারাদিন মারা?
হয়তো কেউ মাথার ক্লান্ত চুলগুলোর জন্য কাঁদবে,
ভাঙবে আবার অভিমানের কাঁচের দেয়াল,
খেয়ালগুলো থাকবে মৃত শুধু আমার অভাবে,
কিভাবে তবুও কারো স্বপ্নগুলো ভাঙবে আমার স্বভাবের বেড়াজাল??
হয়তো বসে বসে সূর্যের বরফ গিলা দ্যাখবো,
ছুঁবো মৃত বালিকার ঠোঁট,
ওঠ! বলে চিৎকার করবো,
মরবো না তবুও হবো আহত,
অবিরত ভালোবাসবো তোমায়,
জমাই গুণে দ্যাখবো ফেলে রাখা প্রেম নোট।
হয়তো তুমি আলো জ্বেলে জেগে রবে,
ভেবে আমায় করবে দূষিত তোমার মন,
আহরণ করে আমায় ছায়ার পিছে ছু্টবে,
নীরবে গালি দিবে অকারণ,
স্মরণ করবে যখোন আমার আত্মা সরবে।
অনেক হয়েছে, আর না;
হেঁটে যাও তুমি, পালাও, দৌড়াও, ভেগে যাও আমার থেকে।
আমি চন্ডাল, স্বার্থপর, রক্তপিপাসু,
করবো তোমায় খুন, অন্য কাউকে রেখে।
(বৈশাখ ১৫, ১৪২১)