হাজারটা দেশি-বিদেশি পুরস্কার
আপনার শোকেসে শোভা পায়।
আপনি জনগণের ই তো মানুষ
তবুও যে তৃপ্ত নয়- তাদের হৃদয়!
আজ দেখলাম- রিকশা শ্রমিক মাইক্রোফোন হাতে
এই দৃশ্য বড়ই বিরল মূল ধারার মিডিয়াতে।
তিনি বললেন, সোনার বাংলাদেশ সোনার বাংলাদেশ করেন-
সোনার বাংলাদেশ ক্যান? হীরার বাংলাদেশ দেব দূর্নীতিটা ছাড়েন।
আরেক জন তরুণ বললো খুব ভারাক্রান্ত মনে,
প্রতিদিন ছয় শ পঞ্চাশ টাকা এহন পাব কোনখানে?
কিস্তিতে কেনা নব্বই হাজার টাকার গাড়িডা পুলিশে আট্কাইয়া
সাঁইত্রিশ শ টাকা নিয়া যাইতে কইলো, বারো শ টাকার মামলা দিয়া।
আবার দেখলাম- একজন পরিবহন শ্রমিক চিৎকার করে বলে,
অনাহারে বিছানায় ছটফট করে তার ফিডার খাওয়া ছেলে।
আরও বলে, লকডাউনকে নাকি সে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে যায়;
হাশরের দিনে আপনাকে নিতে হবে তার রিজিক আটকে দেবার দায়।
এদের মতো কত মানুষ রাস্তা-ঘাটে, চায়ের আড্ডায়
তর্ক ছাড়াই একই কণ্ঠে আপনাদের ভর্ৎসনায় যোগ দেয়।
অথচ, কয়েক বছর আগেও দেখেছি পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক সমান
এখন সবার একই কথা- দয়া করে অত্যাচারটা থামান।
৩০/০৬/২০২১