প্রিয় গাজ্জাবাসী,
দেখেছি তোমাদের ছোট ছোট পাখিরাও
রক্তাক্ত পাখিভাইকে পিঠে করে ফেরে; কোথায় ফেরে কেউ জানে না।
কেউ কেউ বলে ওরা নিজেদের আদি বাড়িতে যায়
আর এক এক করে কিংবা একসাথে অনেককে রেখে আসে ওপারের ফেরদৌসে।

শুনেছি--
তোমাদের বৃদ্ধরা সন্তানের রক্ত-প্লাবণে দাঁড়িয়ে
হাত তুলে আল্লাহকে বলে,
'যতটা নেবে নাও, আর যতক্ষণ নেবে-- সবকিছু দিতে প্রস্তুত আছি,
কুদসকে আমাদের করে দাও।'

কেন হে, প্রিয় গাজ্জাবাসী!
তোমাদেরকে কেউ জীবনের মায়া শেখায়নি?
আমাদের দেখে যাও, ঘরে ঘরে, গ্রামে-শহরে
সবখানে জীবনের কত গান; তার কিছুতে সুর করে থাকে
জাতিসংঘের জনপ্রিয় মানবাধিকার কমিশান।

প্রিয় গাজ্জাবাসী, আমাদের মতো হও
কিছু শেখো বুদ্ধি-- অমন করে প্রাণ দেয় কারা,
জানো না কি বেঁচে থাকাই বেশি বড়, যতটা নয় শুদ্ধি!

প্রিয় গাজ্জাবাসী, এসো শান্তি শিখি।
হাত তুলে অনুকরণ করে বলো আমি যা বলছি--
'শান্তির মানদণ্ড জাতিসংঘকেই মানব। তারা সমাধান না দিলে সরাসরি আমেরিকাকেই আনব। ভারত, চীন, রাশিয়া অস্ত্রের নলে যে-ই হবে দীর্ঘতম, সকাল-বিকাল তারেই প্রণাম করবো- নমঃ, নমঃ!"


হরিণটানা, খুলনা।
২১ নভেম্বর, ২০২৪