বড় স্বপ্ন, নিয়ে বিশ্বাস,
এগিয়ে যায় ইকারাস।
দৃঢ় প্রত্যয়, নেই সংশয়,
বুকে সত্যের বসবাস।
কাজে অভিনব, মনে উচ্ছ্বাস,
যাবে সবকিছু ছাড়িয়ে!
জীবনের দর, দীর্ঘশ্বাস,
শিখেছে বাবা-মাকে হারিয়ে।
সাল দুই হাজার, বয়স আট,
এক আর্তনাদের রাত!
একা হলো সে, মৃত সংসার,
ধরবে কে তার হাত?
কখনো দিনমজুর, কখনো মাঠে,
কখনো বা হোটেলে,
আরো কত কাজ বাঁচার তাগিদে,
যখন যেখানে মেলে।
এভাবেই যায় জীবন সমরে,
বছর দশের মত।
ভুলতে পারেনা সে আজও,
সেই কালরাতের ক্ষত।
ছোট থেকে তার লালিত স্বপ্ন,
বড় হয়ে কবি হবে!
কলম ধরলো হাতে তার,
সে আর না মাথা নোয়াবে!
পীড়িত অতীত, সংগ্রাম,
দেখে মানুষ কত অসহায়!
অগ্নিরূপে, বিদ্রোহী স্বরে!
তার কবিতায় পেলো ঠাঁই।
ছুটে কত ঘরে, কত কার্যালয়,
তার কবিতা ছাপাবে।
না দেখেই বলে আছে কত টাকা,
সেটা আগে জানাবে!
জ্বলার আগেই নিভে যায়,
এই উদীয়মান নক্ষত্র,
লাঞ্ছনার সমাজে, ক্লান্ত বক্ষে,
হলো সম্ভাবনার মৃত্যু!