শহরের শত যান্ত্রিকতা আর কৃত্রিমতার ভিড়ে,
শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে এই মিথ্যে কথার শহরে!
ফুরসতে বার বার তাই মন ভাবে শুধু আনমনে,
কবে যাব! কবে যাব মোর গ্রাম বাংলার পানে!

সেখানে মাটির গন্ধে ভরে থাকে প্রাণ,
মরি তার স্তব্ধ প্রকৃতির মায়ায়!
দেখি সবুজের ছবি, শুনি শত পাখির গান,
বাঁচি তার চির উদার ছায়ায়!
মায়ের মাটির হাতের রান্না ভাতের,
মিলবে না কোনো জুড়ি!
এই বাংলার খোলা নীল আকাশে-বাতাসে,
আমি এক সুতোকাটা ঘুড়ি!
যেখানে প্রহরে প্রহরে বেড়ে যায় আয়ু,
তার বিশুদ্ধতার পরশে!
তার অমায়িক মানুষ আর নির্মল বায়ু,
আছে যেনো স্বর্গ বেশে!

মায়ের গর্ভে থাকে যেমন শিশু,
অকুতোভয়ে করে কেলি।
ঠিক তেমনি বাংলা মায়ের কাছে,
চির প্রশান্তির শ্বাস ফেলি!
বাঁচার তাগিদে ছেড়ে যায় মা,
অন্তরাত্মা  যায়না যদিও,
ক্লান্ত এ-পথিক হারায় যেখানেই,
বাংলা মায়ে ফিরিয়ে দিও।