বিধাতা,আমাকে একটু শান্তি দাও।
মেঘাচ্ছন্ন এই ক্লান্ত আকাশের বুকে যখন নেমে আসে বজ্রকন্ঠ
উন্মাদিত বর্ষণে যখন ছেয়ে যায় গ্রাম
আতঙ্কে আর্তনাদ করে মানুষ,ভূমি,পক্ষী, অরণ্য আরো কত কি...
বাতাসে মিশে আসে দুর্যোগের ঘনঘটা
প্রকৃতি ছেয়ে যায় তন্দ্রাচ্ছন্ন ঘুমে
ভূমিকম্পের দাপটে ধ্বংস হয় বিল্ডিং
মানুষের লাশের খোঁজ নিতে উৎসুক নয় কেউ..
তখন তুমি জ্বেলে দাও শান্তির বাতি।
বিধাতা,আমাকে একটু শান্তি দাও।
গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে যখন খাঁ খাঁ করে আবাদি জমি
গাছে গাছে যখন ভরে ওঠে সবুজের প্রাণবর্তী পাতা,ফুল, ফলে
সেই তপ্ত রোদে রক্ত ঘাম এক করে যখন কাজ করে কৃষক
ফলায় তাদের শেষ সম্বল তোমার দেয়া শস্য...
তখন তুমি ধেয়ে দাও বজ্রের সাথে বর্ষণ।
বৃথা যায় কৃষকের চেষ্টা
বৃথা যায় তপ্ত রোদের কাজ
বৃথা যায় তাদের জীবন।
অনাহারে কেটে যায় বেলা..
শিশুটা খাবার পাওয়ার জন্য কাতর কন্ঠে আর্তনাদ করে
মায়ের মুখ থেকে হারিয়ে যায় বুলি
পিতার মস্তকে নেমে আসে চিন্তার পাহাড়
অনাহারী পেট,বাচ্চার আর্তনাদ সয়ে যেতে হয় মাসের পর মাস
সূর্য মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে দেখে সে করুন হাহাকার।
এতেও কি তুমি শান্তি পাওনা?
এতেও কি তোমার মন ভরে না?
এতেও কি তোমার তৃপ্তি হয় না?
কেন এত কষ্ট দিতে মন চায়?
কেন এত কাঁদাতে মন চায়?
কেন এত শুনতে চাও পথিকের আর্তনাদ?
বলো বিধাতা,বলো।
বিধাতা,আমাকে একটু শান্তি দাও।
মুছে দাও পৃথিবীর বুক থেকে দুর্যোগের অত্যাচার
ধুয়ে দাও তোমার মেঘাচ্ছন্ন ক্লান্ত চোখের আকাশ
ঘুচে দাও ধরণীর বুকে ঘটে যাওয়া অন্ধকার
প্রকৃতিকে সাজিয়ে দাও সবুজের সমারোহে
নবরুপে ফিরিয়ে দাও কৃষকের শস্য
ভুলিয়ে দাও বাচ্চা শিশুর ক্ষুধার্ত আর্তনাদ
পিতার মস্তক থেকে ঝেড়ে দাও চিন্তার ছাপ
মায়ের মুখে ফুটিয়ে দাও সন্তান লালনী বুলি
শিশুর মুখে এঁকে দাও আনন্দের সীমারেখা
মুক্ত করো কালোহাত ঐ দুর্যোগের থেকে
তবেই আমি একটু শান্তি পাবো......।
-------ধন্যবাদ------ভুল গুলো বলবেন---।
(এখানে আমার শান্তির কথা বলতে সাধারণ মানুষের প্রত্যেক কে বোঝানো হয়েছে)