তোমার লগে শেষ দেখা হইছিলো
বর্ষার সকালে,
মনের মিনিটের কাঁটাটা কয়
আইজ সাতাইশতম দিন সাত ঘণ্টা সাতাইশ মিনিট।
বিহানবেলা টঙে লাল চায়ে চুমুকে
হারাইয়া যাইতাম কল্পনার সংসারে
ভাবনায় যোগ হইতো কত কী..
আলতা পায়ে কদম দিয়া দুইজনে গল্প করতাম,
নীল শাড়ির ঐ আঁচলখানা ছাইড়া
পুকুর পাড়ে বইসা তোমার ওই
শীতল হাতে বাদাম খাওয়াইতা
কষ্টে, হাসি ফোটাইতো
টোল পড়া তোমার ওই মিঠা মিঠা হাসিটা!
তোমার লগে কাটানো বেলাগুলা
আমার হাসির কারণ ছিলো
বাঁইচা থাকার শক্তি পাইছি
একাকিত্বের জঘন্য রূপটাকে বিদায় দিছিলাম।
কিন্তু,
কিন্তু সেইদিনের পর আর দেখা হয় না, কথা হয় না
হইবই বা কেমনে, যেইহানে
আমার থেকে, এই শহর থেকে
আল্লাহ'ই তোমারে তুইলা নিয়া গেছে,
পশ্চিম পাড়ার ঐ বৃদ্ধাটা কয়,
"কান্দিস না বাজান, আল্লাহ যা করে ভালাই করে,
দোয়া কর তোর পরাণের লিগা"
কিন্তু, আমার বুকটা ভালা নাই
হাসি নাই
একাকিত্ব ছারখার কইরা দিলো
বাঁইচা থাকবার ইচ্ছা, শক্তি হারাইছি
তোমারে ভুলবার পারি না
পারমুই বা কেমনে, যেইহানে
তোমারে ভালোবাসছিলাম
বুকে চাদর দিয়া ঢাইকা রাখছিলাম,
এহন বুকে কে জানি কাঁচি দিয়া দাগ কাটে
আর কষ্ট দেয়!
বাঁইচা থাকতে কইছিলা
"একলগে থাকমু, সুখ, দুঃখ উপভোগ করমু।"
কিন্তু তুমি আমারে রাইখা চইলা গেলা কেমনে?
কেমনে পারলা তুমি চইলা যাইতে?
তুমি কি ঐপাড়ে গিয়া
আমারে ভুইলা গেলা,
কত কথা দিছিলা, কত হাসাইলা, জীবন সাজাইলা
তাও মনে নাই?
পাড়ার মানুষ খালি কয় এই মিছে দুনিয়ায়
মরলেই নাকি শান্তি পাওয়া যায়।
আমি চাই তুমি সুখে থাকো।
তোমার সুখই আমারে মুক্ত বাতাসে
বিশুদ্ধ শান্তি দেয়।