আমি চেয়েছিলাম থাকতে বিশাল জলরাশির ধারে; হয়তো অতিথি নয়তো হাবিলদার হয়ে
চেয়েছিলাম জলরাশির উপর মেঘ হয়ে ভেসে থাকতে,
নয়তো জলরাশির সেই চৌরাস্তায় গাঙচিল হয়ে ঘুরে বেড়াতে
চেয়েছিলাম জলরাশির এই কূলে-ওই কূলে যাযাবরদের মতো বেঁচে থাকতে,
নয়তো জলরাশি থেকে কিছুটা দূরে সবুজে ঘেরা পাহাড়ের কোনো এক প্রান্তে আদিবাসীদের মতো জীবনধারা চালিয়ে যেতে
চেয়েছিলাম জলরাশির মাঝে তরণীতে চড়ে সাপুড়েদের মতো বেঁচে থাকতে,
নয়তো জেলেদের মতো এই প্রান্তে-ওই প্রান্তে মাছ শিকার করে দিন কাটিয়ে দিতে
চেয়েছিলাম পালতোলা ডিঙ্গিতে জলরাশির ঢেউ আর গর্জন গাঁয়ে মেখে একঘুমে সাতটি রাত কাটিয়ে দিতে,
নয়তো প্রকৃতি ঘেরা উঁচু-উঁচু টিলায় থাকা পশুপাখিদের গর্জন আর কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙতে
কিন্তু আমাকে ফিরে আসতে হলো দূষণে আচ্ছাদিত ব্যস্ততম এই যান্ত্রিক নগরীর সেই চৌরাস্তায় যেখানে আমার বেড়ে ওঠা; যেখানে পরিবারের বন্ধনে থাকা মায়ার আঁচল!
আমি আবারো যাবো সেই জলরাশির মাঝে; হয়তো কোনো পথিক বেশে।