মিষ্টি মধুর কণ্ঠে গান গেয়ে কোকিল, দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা,
তোমার স্পর্শে মন বাগানে আজ, ফুটছে ফুল আর ঝরছে রঙিন পাতা।

তুমি হেসেছ বলে আজ, কত গল্পেরা পাচ্ছে নাম,
তোমার স্পর্শে সময় যেন স্তব্ধ, হৃদস্পন্দন একটু থাম।

সাদা গোলাপ যে হয়েছে দুর্লভ, তোমার খোঁপায় বেধে দেব বলে,
চন্দ্রমল্লিকাই হোক না তবে, তোমার হাতে দেই তবে তুলে।

তুমি আমি পাশাপাশি বসে, ওই কোমল দূর্বা ঘাসে,
চন্দ্রমল্লিকাত্রয় তোমার স্পর্শে, আমাকে দেখতেই ভালোবাসে।

একটু দূর! বসেছি যে পাশেই, তবুও মনে হচ্ছে কেন?
তোমার স্পর্শ না পেলে, অশান্ত এ মন যেন।

নীল নীলে মিলে যেন, হয়ে যায় একাকার,
তোমার স্পর্শে কেটে যাক, সময় আর দূরত্বের সব দ্বার।

শ্রান্ত বিকেল, একটু রেখে, মাথা তোমার কাধে,
তোমার স্পর্শে মন ভিজে যায়, স্বপ্নেরা নতুন বাসা বাঁধে।

মিষ্টি সুবাস আসছে যে, থেকে তোমার চুলে,
তোমায় স্পর্শের বাহানায় যেন, মন সকল বাঁধা যাচ্ছি ভুলে।

শান্তির পরশ পাই যে খুঁজে, তোমার কোলে রেখে মাথা,
তোমার স্পর্শে অনুভবের কালে, হারিয়েছি বলার সব কথা।

ভেঙে সকল দ্বিধা আর ভাবনা গিয়ে, আরো খুব কাছে তোমার,
তোমার স্পর্শে, আমার স্পর্শে, থাক! এখন তা নাইবা বলি আর।

ফুলেল রঙে আঁকছি ছবি এ মুহূর্ত, এই আমার হৃদয় দেয়ালে,
তোমার স্পর্শে যেন হচ্ছি বেঘোর, আর হারাচ্ছি বেখেয়ালে।

গোধূলি তখন নামবে বলে, জড়িয়ে হাত তোমার,
তোমার স্পর্শে করছে রঙিন, উঠতে চাইছে না যে মন আর।

ঝরা শুকনো পাতার উপরে, চলো তুমি আমি একটু হেঁটে যাই,
তোমার স্পর্শে পাচ্ছে তারাও সুর, আমি যেন ছন্দ খুঁজে পাই।

একপা দু'পায়ে ফুরাচ্ছে পথ, ফিরতেই হচ্ছে এবার,
তোমার স্পর্শ ছেড়ে যে, মন হচ্ছে না আর যাবার।

তৃষাতুর চোখে তোমায় যে দেখি, হচ্ছে না দেখার শেষ,
তোমার স্পর্শে পেলে যে, রোজ জীবন কাটবে বেশ।

তোমার জন্য অনেক ভালোবাসা, সবসময় রাখব হৃদয়জুড়ে,
তোমার স্পর্শে তোমায় ভালোবেসে, রাখব বিভোর করে।



রচনাকাল - ২৬ মাঘ, ১৪২৮