দেখেছি তোমায় সুন্দরীতমা শাড়িতে
এ হৃদয় চেয়েছে বারবার শুধু তোমাতেই মরিতে।
ফেরাতে পারিনি একটিবারও
আমার এ ব্যাকুল আঁখি,
কেন যেন শুধু আজ লাগছে ভালো
শুধু তোমাকেই দেখতে থাকি।
কপোলে পরা ওই ছোট্ট টিপ
যেন আমায় শুধু ডাকছে,
তোমার ঐ হাসিমাখা মুখটাকে মন
প্রেমের রং তুলিতে আঁকছে।
খোলা চুল যেন বাতাসের সুরে
ডেকে দিচ্ছে আমায় সাড়া,
দেখেছি তোমায় আজ অপরূপ সাজে
মন হয়েছে বাঁধনহারা।
এত সুন্দর লাগছে যে আজ
কি উপমা দেব তোমায়,
বলতে গেলে শব্দেরা শুধু
দিচ্ছে যেন অভাবে থামায়।
দাওনি হয়তো কাজল আজ
তোমার ঐ দু নয়নের বাকে,
কি করি বলো ইশারায় সে দৃষ্টি
আমাকেই যেন ডাকে।
তটিনীর তীরে দাড়িয়ে তুমি
মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে তোমার খেয়ালে,
মনে হয় যেন ভাসব সে জলে
তুমি মনে মন আজ মেলালে।
দেখে তোমায় আজ ফেলেছে চিনে
মা পর্যন্ত এক পলকে,
হয়েছি যে পাগল আমি নিজেই দেখে
তোমার ঐ অপরূপ এক ঝলকে।
চোখ বুজলেই তোমাকে দেখছি
তুমি জড়িয়েছ আজ এমন মায়ায়,
মন যে চাইছে থাকতে শুধু
তোমার ঐ শাড়ির আঁচল ছায়ায়।
ঘুম যেন সব পেয়েছে ছুটি
তোমাকে দেখার পরে,
স্বপ্নেও হয়ত আসবে তুমি আজ
অপেক্ষার সইছে না আর তরে।
যেমনটা ছিলে থেকো গো তেমনি
বন্ধু হয়ে তুমি সারাজীবন পাশে,
তুমি তো মিশে আছো আমার
প্রতিটি শ্বাসে আর প্রশ্বাসে।
রচনাকাল - ১লা শ্রাবণ, ১৪২৯