নীল সে চাদরে জড়ানো স্বপ্নগুলোর সাথে
যাবে কি কোন অচিন দেশে?
কত রঙিন স্বপ্নেরা বেধেছে বাসা
অপরাহ্ন যে বয়ে যায় মন আকাশে।

আকাশের ঐ দূর নীলিমায়
কত পক্ষিকূলের স্বপ্নেরা তো মুক্ত ডানায় উড়ে
কতটা গাঢ় হলে সে রং,
তোমার মনের খুব কাছে গিয়ে বাড়াতে পারব হাত
সে নীলে হারানোতে যে ভালোবাসা যাবে বেড়ে।

আচ্ছা সখ্যতা তো সাগরের নীল জলেও
প্রতিটা ঢেউ যেমন দোলা দেয় তার প্রাণে,
আমি না হয় দেব একটু মৃদু স্পন্দনে
পাব হয়ত খুঁজে আমাদের প্রেমের মানে।

প্রজাপতির স্নিগ্ধ ডানায় আছে যত রঙেদের মেলা
জ্বলজ্বলে তো আমার চোখে সেই প্রিয় নীল,
ফেরাতে পারি না মন তোমা হতে কিছুতেই
সরাতে পারি না চোখ তোমার ঠোঁটের ঐ তিল।

ঘুমন্ত স্বপ্নেরা কি আদৌ কোন রঙের হয়?
হয় হয়ত, না হলে কি করে তোলে হৃদয়ে এত আলোড়ন,
ঘুম ভাঙিয়ে আমার স্বপ্ন চেয়ে রয়
সে রঙে রাঙাতে তোমায় বারবার চায় এ অবুঝ মন।

শ্রান্ত দুপুরে পুকুর পাড়ে শুভ্র সে নীলপদ্মের পাতা
খেলে যেন জলের সাথে ভাসিয়ে প্রেমের ভেলা,
মনে মনে শুধু অজানা সুরে তোমাকে ডেকে সারা
পাশাপাশি হেঁটে হবে যে হয়ত আমাদের পথচলা।

রংধনুর রূপে থাকুক না যতই অনেক রঙের ঘনঘটা
তাদের মধ্যে হারানোর জন্যে যে আছে সেই মায়ায়,
যেন আমি হারাই বারবার ফিরে শুধু তোমাকেই চাই
সেই দূর অজানায় দিগন্তের শেষ নীল আভায়।

বিকেলের শেষে নীল আকাশে
রক্তিম আলোর সাথে সে নীলের কত খেলা চলে,
হাতে হাত রেখে প্রতিটা সূর্যাস্ত রাঙাতে দুটি মন
হারাব না হয় ঐ নীলিমায়, শুধু একথাই ইচ্ছেরা বলে।

রাত্রি নিশীথে নীল আকাশে চাঁদের আলোয় মুক্ত তখন ঝড়ে
দেখেছি তোমার ঐ চাঁদমুখ তুমি দিয়েছ একটুখানি হেসে,
কখনো যাবে না ভোলা, আছো হৃদয়ের সবটা জুড়ে
চায় পেতে ফিরে যে তোমায় প্রিয় সেই নীলাম্বরীর বেশে।




রচনাকাল- ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯