সবুজের মাঝে সেদিন হারিয়ে গেলে কেমন হত?
হতো হয়ত কিছু প্রাণহীন পাতায় জমে থাকা শুকনো আবেগের দেখা।
দৃশ্যমান সে প্রেক্ষাপট সতেজতার বুলিতে প্রাণোচ্ছ্বল দেখালেও,
তার জন্য যে বৃষ্টির বা মৃত্তিকা জল অগাধ ভালোবাসার ছাপ রেখে যাচ্ছে,
তা তুমি একটিবার কি মনের বেখায়ালে হলেও ভাবো?
কি জানি? হয়ত ভাবো!
জলের এক বিন্দু ভালোবাসার আশায় অধীর আগ্রহে বসে থাকা,
আমার আর কি? তোমার ভালোবাসায় সিক্ত হতে, এই তো চাওয়া।

ভাবছি আর কি প্রাণের মায়ায়,
কত বর্ষার সুরের ছন্দিত হতে তারা বসে থাকবে,
একটু খানি তোমার পরশ পেলেই তো প্রাণহীনতা কেটে উঠে দাঁড়াবে।
কত বৃষ্টির দিন যাচ্ছে পেরিয়ে,
প্রাণ ধারণের জন্য প্রয়োজনীয়তাটুকু মিটলেও একসাথে, এক শাখায় বসে,
টিপটপ বৃষ্টির ফোঁটায় দোল খাওয়ার সে ব্যাকুলতা তো অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে।

কেন নিজেকে ফাঁকি দিচ্ছ আড়াল করে,
মনের মাঝে আসা এমন ছোট্ট সে ইচ্ছেগুলো,
রঙিন সে দিনগুলোতে দেখা স্বপ্নগুলো,
যায়নি যদিও ঝুম বর্ষার মৌসুম, চাইলেই হয়ত পারো ভিজতে সাথে,
আছি আর থাকব দাড়িয়ে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে, তুমি ভিজবে বলে।

এ মন সে দিনের দেখা পেতে,
রাত জাগা পেঁচাদের সাথে তাই খোশগল্পে আর হাসতে হাসতে চলে।
পেঁচারা জানো কেন রাত জাগে? তাদের সাথে চলতে গিয়ে বলেছে সব তারা
ভাবতাম আমিও আগে, কিন্তু সংশয় হয়েছে দূর তাদের সাথেই মন বাঁধনহারা।

তুমি কি শুনতে চাও? না কি করবে শুনে! বলছি ভিজব তবে ভিজবই,
হোক যতই চলতে আমার পেঁচাদের সাথে, সবুজ শাখায় তো বসে,
মৃদু হাওয়াতে যদিও তোমার দুলবো তাই দেখে নিচ্ছি আগে,
আছে  কিনা কোন শঙ্কা? তোমার-আমার পিছলে পড়ে সে জলে।
তোমায় তো সে জলে দেব না পড়তে, তুমি যে প্রিয়, করবে আনন্দ মনখুলে,
সবুজের মাঝে সেই জলে যেতে পারি ভেসে, তোমায় দেখে তাও তো করতে পারব হেসে।
তবে চাও যবে, ভিজতে গিয়ে মায়ায় পড়তে বলো হবে সে মায়া আসবে তো,
নিক যতটা ক্ষণ বর্ষা আছে, রাখব সে বৃষ্টির জল মেঘেদের দেশে থেমে।




রচনাকাল - ৩০ বৈশাখ, ১৪২৯