তুমি প্রেম-বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ো আমার হৃদয়ে,
আমি ভিজি, তবু শুকিয়ে যাই তোমার অভিসারে।
ভালোবাসার বাঁধনে কাব্যচর্চার অভিপ্রায়ে,
বারবার ফিরে চাই একান্ত তোমাকে, শুধু তোমারে।

চাই না তোমার কাব্যময়তার ভালোবাসা,
শুধু একটু ভাবনায় রাখ এইটুকু আশা।
ভালোবাসতে বলিনি, হোক না তা ঘৃণা,
তোমার হৃদয়ে বাজুক না আমার বীণা।

এত এত অপেক্ষায়, তবুও দিবে না সাড়া,
ওগো মায়ময় মায়াবতী, রূপে যে তুমি ভরা।
তাই বলে হবে তুমি এমন কর্কশ নির্দয়া,
মানবসত্তা প্রেমময় হও তুমিও, তাই প্রিয়া।

জানি, কখনো হবে না আঁধারের সঙ্গী,
তবুও ভালোবাসি বলে করি শুধু ভঙ্গি।
তোমাই পাব শ্রাবণের ঝিরঝির বৃষ্টিতে,
এও নাই অন্তরের শিহরণ জাগানো তটে।

তবুও স্বপ্ন আঁকি গভীর নিশীথে,
আসবে কোন না কোন এক প্রাতে।
আমার একাকিত্বের ভূবন ধ্বংসে,
যাব শুধু তোমাকেই ভালোবেসে।

হাজারো বছরের অতিবাহিত ক্লান্তি পটে,
তোমার ছোঁয়ায় ঝরে পড়ে যাবে মিটে।
বিন্দু বিন্দু জমা চোখের জল মুছে দাও,
সমস্ত ব্যথা-বেদনা চিরতরে নিয়ে যাও।

তোমার সুখের তরঙ্গে ভাসুক হৃদয়,
শ্রাবণের জলে ভিজুক বিরহ-সময়।
এসো অন্তরালে খুব নীরব গানে,
ঝরে পড়া আমার প্রেমাতুর প্রাণে।

কাঠগোলাপ আর শুভ্র গোলাপ জলে,
আমার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে যাবে গলে।
শুধু তোমার প্রেমে পড়েছি শতবার,
তবুও নবযৌবন ঢেউ রয়েছে তার।

রহস্যময় প্রেমের গহীন অরণ্যে যাবো,
ভালোবাসায় সিক্ত করে সাজাবো।
ছন্দে ছন্দে তোমায় রঙে রাঙাবো,
জনম জনম বাহুডোরে রাখিবো।

এসো নীরবে এই হৃদ গহীনে,
এসো হাহাকার করা আবৃত বুকে।
কালবৈশাখী ঝড়সম প্রেম নিয়ে,
তোমার ভালোবাসার সুমিষ্ট মুখে।

তোমার পরশ বুলিয়ে দিও ঝুঁকে,
লেপ্টে নিও বক্ষ-অঞ্চলে ঢেকে।
বিষাদে অমৃতের স্বাদ দিও ঢেলে,
তব অমৃত সুধায় যাবে তা চলে।

ঝিরঝির বৃষ্টিতে সস্তা সাইকেলে,
তুমি আমি একাকার হব মিলে।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং শব্দ যাবে মিশে,
তোমার আমার অন্তরের শিহরণে।

আসবে তুমি বৃষ্টির ছলে,
কম্পিত চিত্তে গভীর স্পর্শে।
যাবে সব যাতনা-বায়না ভুলে,
তোমারই পরশের অনুলেম পর্বে।

সহসা তোমার বৃষ্টিতে ছুটি,
শ্রাবণ গান গেয়ে গেয়ে চলি।
তোমার জলে ভেসে ভুলি,
তুমিই তো আমার পৃথিবী।

জানো তো, এই কাব্যের আছে শুরু,
শেষ কভু হবার নয়, এ যে একমেরু।
অন্যমেরু হয়তো বিচ্ছেদ বেদনা,
যন্ত্রণা সীমাহীন।
নয়তোবা মিলনের অমৃত সুধা,
অন্তরের শিহরণ।

প্রেম সদা প্রাণবন্ত অক্ষয়ী বট,
মিলন বা বিচ্ছেদ হয় তার তট।
মিলনের সুধায় হয় মহাকাব্য শেষ,
বিরহ-বিচ্ছেদ যে অসীম নিঃশেষ।

চলে জীবন বীণা যতদিন ধরে,
জিন্দালাশের তিল তিল যন্ত্রণা ভরে।
সমাপ্ত হয় না জীবন থাকে যবে ভবে,
মৃত্যুতেও তার অমর প্রেম-কীর্তি রবে।

যুগ যুগ ধরে চলবে মাহাকাব্য চর্চা,
আমার ভালোবাসার অমিয় গাঁথা।
প্রার্থনা তোমার বাড়ুক জীবন কাল,
যাতে এতটুকু বুঝ হলে শেষ সকাল।

তুমি সুন্দরী, মম প্রেয়সী কৃষ্ণকলি,
তোমাকেই বলি তিলোত্তমা মেঘকলি।
ভালোবেসে বলি কখনো কখনো মৃন্ময়ী,
যুগ যুগ ধরেই রইলাম অবহেলায় জয়ী।

দিলাম কথা তোমায় নির্ঘুম রাতে,
ভালো বেসে যাবো যত আসুক প্রাতে।
সকাল, সন্ধ্যা, গোধূলি বেলায় বসে,
কুহু কুহু সুরে তোমায় ভালোবেসে।

আর কত দূর গেলে,
বারেক ফিরে তাকাবে?
যাতনার কতটা গভীরে,
কত হারালে অতল গহ্বরে?

ভালোবাসা অবিরাম, নিষ্কলুষ নির্মল,
তোমাই পাব, তা নেই যৎসম অমল।
নর্দমায়ও ফুটায় কমল,
আমি যে তোমার বিমল।

জানি, তুমি হবে ভীষণভাবে বিরক্ত,
কিন্তু দোষ কি, সব বুঝেও তুমি বিরত।
এত এত ছন্দ, বাদল,
প্রেমে সব হয় বদল।

কখনো কি ভিড়িবে না তোমার তরী?
আমার ভালোবাসায়,ওগো কাদম্বিনী।
যখনি বলি, শুধু সুধাও তুমি,
স্বর্গীয়কে নরকে কর মৌসুমী।

কোথায় আছো তুমি?
দাও পরশ, নিকটে আসি।
দিও একটুখানি মিষ্টি হাসি।
শুধু একবার বল ভালোবাসি।