হৃদয়-আকাশে প্রেমের আলো
~~~~ মোঃ ছানা উল্লাহ
তুমি যে আমার হৃদয়-কবিতা,
তোমার কথায়, আমি আনমিতা।
তোমার ইচ্ছেতে আমি শুধু চলি,
মনের আকাশে মেঘ-তরঙ্গ দুলি।
কখনো তুমি আলো, কখনো আঁধার,
আমার অন্তরে বাজাও সঙ্গীত-তার।
তোমার চাওয়াতে জাগে মধুর ক্ষণ,
আমার নিশীথে তুমি সপ্তর্ষিমন্ডল।
বায়ুর হাওয়ায় যেমন দুলে ঘুড়ি,
তোমার আঁচলে আমি খুঁজি স্বপ্ন সুরভি।
কখনো তোমার ছোঁয়ায় আমি আকাশ,
কখনো মাটিতে, তোমাতে বিনাশ।
তুমি ছাড়া আমায় ব্যথা দেয় সব,
তুমি যে আকাশ, আমি যে রব।
তোমার হাওয়াতে আমি স্বপ্ন বুনি,
মায়ার ছোঁয়াতে পাখা মেলি আমি।
তোমার ইচ্ছে দাও আমায় আশ্রয়,
তোমার হাতে থাকুক, আমার স্বপ্নের জয়।
নাটাই তোমার, খুঁজে নিও প্রেয়সী,
আমার আকাশে তুমি অনুপ্রেরণার চুম্বক।
কবিতাটিতে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে হৃদয়ের গভীর আবেগ ও অনুভূতির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। প্রতিটি স্তবকে প্রেমিক তাঁর অনুভূতিকে আলাদা আলাদাভাবে তুলে ধরেছেন। এখানে পুরো কবিতার সারসংক্ষেপ এবং ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
### প্রথম স্তবক:
**"তুমি যে আমার হৃদয়-কবিতা,
তোমার কথায়, আমি আনমিতা।
তোমার ইচ্ছেতে আমি শুধু চলি,
মনের আকাশে মেঘ-তরঙ্গ দুলি।"**
এই অংশে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিজের হৃদয়ের কবিতা বলে অভিহিত করেছেন। প্রেমিকার কথা তাকে আনমনা করে দেয়, তার ইচ্ছার স্রোতে তিনি ভেসে চলেন, যেন মনের আকাশে মেঘের তরঙ্গের মতো প্রেমের ঢেউ খেলে।
### দ্বিতীয় স্তবক:
**"কখনো তুমি আলো, কখনো আঁধার,
আমার অন্তরে বাজাও সঙ্গীত-তার।
তোমার চাওয়াতে জাগে মধুর ক্ষণ,
আমার নিশীথে তুমি সপ্তর্ষিমন্ডল।"**
এখানে প্রেমিক বলেছেন, প্রেমিকা কখনো আলো, কখনো আঁধারের মতো, তার জীবনে সুরের মতো সুরেলা মুহূর্ত সৃষ্টি করে। নিশীথের আকাশে যেমন সপ্তর্ষিমন্ডল আলো ছড়ায়, তেমনি প্রেমিকের অন্ধকারময় জীবনে প্রেমিকা আলোর রেখা হয়ে আসে।
### তৃতীয় স্তবক:
**"বায়ুর হাওয়ায় যেমন দুলে ঘুড়ি,
তোমার আঁচলে আমি খুঁজি স্বপ্ন সুরভি।
কখনো তোমার ছোঁয়ায় আমি আকাশ,
কখনো মাটিতে, তোমাতে বিনাশ।"**
এই অংশে প্রেমিকের অনুভূতি হাওয়ায় দুলতে থাকা ঘুড়ির মতো—যখন প্রেমিকা তার পাশে থাকে, তখন সে আকাশের উচ্চতায় পৌঁছে যায়। প্রেমিকার স্পর্শে সে কখনো আকাশের মতো মুক্ত, আবার কখনো মাটির সঙ্গে মিলিয়ে যায়।
### চতুর্থ স্তবক:
**"তুমি ছাড়া আমায় ব্যথা দেয় সব,
তুমি যে আকাশ, আমি যে রব।
তোমার হাওয়াতে আমি স্বপ্ন বুনি,
মায়ার ছোঁয়াতে পাখা মেলি আমি।"**
এখানে প্রেমিক বলেছেন, প্রেমিকা ছাড়া সব কিছুই তার জন্য ব্যথার। প্রেমিকা আকাশের মতো বিশাল আর প্রেমিক সেই আকাশে সৃজনশীলতার প্রতীক রবীন্দ্রনাথের মতো। প্রেমিকার প্রেরণায় সে স্বপ্ন বোনে ও মায়ার ছোঁয়ায় সে যেন পাখির মতো উড়তে চায়।
### পঞ্চম স্তবক:
**"তোমার ইচ্ছে দাও আমায় আশ্রয়,
তোমার হাতে থাকুক, আমার স্বপ্নের জয়।
নাটাই তোমার, খুঁজে নিও প্রেয়সী,
আমার আকাশে তুমি অনুপ্রেরণার চুম্বক।"**
শেষ স্তবকে প্রেমিক প্রেমিকার কাছে অনুরোধ করছে তার ইচ্ছার আশ্রয় দিতে। তার স্বপ্নের সাফল্য যেন প্রেমিকার হাতেই থাকে। প্রেমিকা যেন ঘুড়ির নাটাইয়ের মতো প্রেমিকের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তার অনুপ্রেরণা যেন প্রেমিকের জীবনের দিকনির্দেশনা হয়।
### সারসংক্ষেপ:
পুরো কবিতাটি এক গভীর ও রোমান্টিক অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ, যেখানে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনের কেন্দ্রবিন্দু, স্বপ্নের প্রেরণা এবং সৃষ্টির উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কবিতায় প্রেমিকের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং প্রেমিকাকে নিয়ে তার আত্মনিবেদন সুন্দরভাবে প্রকাশিত হয়েছে।