রক্তে রাঙানো একুশ ছিল না শুধু মাতৃভাষার গান,
জাতীয়তাবাদের অবতরণিকা, তারুণ্যের আহ্বান।
জাগো বাঙালি, জাগো! পরাধীনতার শিকল ভাঙো,
নিকৃষ্ট দখলদার হটিয়ে, স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনো।
নতুনত্বের জয়গানে উজ্জীবিত বাঙালি জাতি,
বুক পেতে দিয়েছিল রে, কর্ যত খুশি তত গুলি।
স্বাধীনতার দাবানল দাহ ছড়িয়েছে জনে জনে,
থামাবার শক্তি নাই, নাই রে হিম্মত নিকৃষ্টের মনে।
একুশ ছিল না শুধু ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস,
ছিল না শুধু রক্তদানের অমরত্নে করেছিল পরিহাস।
এ ছিল আমাদের বাঁচার, স্বাধীনতার প্রথম চেতনা,
ছাপিয়েছে পরাধীনতা, নির্যাতন-নিপীড়ন, সব যাতনা।
এদেশের বুকে বারবার নেমে আসবে বাহান্নর সুর,
অপশক্তি টিকবে না কখনোই, সব স্বৈরাচার হবে দূর।
বাহান্ন বল, একাত্তর বল, অথবা বলো জুলাই চব্বিশ,
বীরত্বে সেরা মানুষের কাছে ফ্যাসিস্ট করবেই কুর্নিশ।
প্রতিটি যুগে আত্মত্যাগের রয়েছে সুবিশাল ইতিহাস,
বারবার কেন দিতে হয় রক্ত, ফ্যাসিবাদীর পূর্বাভাস?
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি কীভাবে হয় এত তৎপর,
সবদিকে এখনো কেন দেখি হাহাকার, স্বাধীনতারও পর?
তবে কি মিথ্যা আমাদের অর্জিত সব স্বাধীনতা?
দুর্নীতিবাজ আর মিথ্যাবাদী ছড়ায় অশালীনতা।
সাগরসম রক্তের বিনিময়ে কোথায় পেলাম স্বাদ?
চারদিকে তো দেখি, সবখানে পরাধীনতার আবাদ!
শহরের থরে-বিথরে দেখো আজ বসন্তের জয়গান,
এ তো নয় বসন্ত, এ যে তাজা খুন আর বীরদের প্রাণ।
একুশ চির অম্লান থাকুক, চিরস্থায়ী স্বাধীনতার সূর্য,
অত্যাচারীর লাগি, আমরা চির রণবীর, হাতে রণ তূর্য!