আমি সত্যেকালের সন্ন্যাসী হতে চেয়েছিলাম,
ত্রেতা ও দ্বাপর যুগের পাপ-পূণ্য নিষ্ঠ-অনিষ্ঠ ;
আমাকে অসম বা সমদন্ডে দাড় করালেও
কলিযুগ আমায় স্বত্তার বাইরে ঠেলে দিয়েছে ।
কালের বিবর্তনে যারা বদলে উল্টো পথিক,
যারা কুপ্রবৃত্তির মাধ্যমে ঢেকে যাচ্ছে অতলে;
লালন করছে ইন্দ্রিয় শুশ্রূষা ঘন অন্ধকারে
আমি আড়ষ্ঠ করাতে চাই এমন বিকৃত মস্তিষ্কের।
সভ্যতার ধ্বংসবশেষ নিদর্শন থেকে ধারনা
কাল থেকে কালের বিবর্তন পেরিয়ে ইতিহাস ,
সময়ের সকল করাল গ্রাস, মোহ ডিঙ্গিয়ে
একটি কবিতা রাজ করবে বলে আশা বাধলাম।
কবির তীব্র কুঁকড়ে মরা যন্ত্রনায়, যে কবিতা হবে-
প্রতিটি অন্ধকার সমাজের আলো দিশারী ,
নগ্ন দেহের চাদর ও ক্ষুধার্তের আহার
পথশিশুর নিরাপত্তা,নিপীড়িত মানবের সান্ত্বনা।
আশাহত, অলসের দুর্গম পথের দুর্নিবার লক্ষ
রোষে দাবানলে পুড়ে মরা মানুষকে করবে শান্ত।
হিংস্র পেশি শক্তি মৃগয়ার জন্তুটিও হবে না ভ্রান্ত,
নগ্নতা শব্দটি থাকবে , অত্যাচারিত অসহায়।
যুদ্ধ হানাহানি শত্রুতা ভূলে,মিলবে প্রেম,ভাতৃত্ব
একই সুতায় বাঁধা থাকবে সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম
বসন্তকালের মতো করে গাছে গাছে গজাবে
ঘন সবুজ শ্যাম ;লাল,হলুদ বর্ণের পুষ্পরাজি।
স্বর্গীয় মিলন মেলায়, জন্ম নিবে নতুন পৃথিবী।
কবিতায় চন্দ্রশালায় রমনীর প্রেম থাকবে স্পর্শহীন,
প্রেমের যুগপৎ বদলাবে না,কবির মাংস খসবে না;
কবির শ্বাস-প্রশ্বাসে থাকবেনা , কর্পোরেট অহংকার।
চিহ্ন কমল বেরিয়ে আসা নিপীড়ন দুঃখ কষ্টে
কবি হবে সমাজ-সভ্যতার দর্পন ।
কবিতায় লালন করবে কবির নিজস্ব স্বত্তা।