লাল ঠোট নীল তাড়ুয়ার মতো সুদর্শিনী;
শিমুল তুলোর মতো নরম,অসূর্যস্পর্শী।
ফটিকজলের মতো চঞ্চলামতি,মিষ্টি কন্ঠী,
পদ্ম দীঘির জলের মতো,টলমল দিগল আঁখি,
মুক্তঝরা মৃদু হাসিতে ম্রিয়মান,
যেন একটা নিস্তব্দ নগরী।
অপেক্ষায় ছিলাম,
এমন একজনের জন্য।
যেমনি করে পথ;
সুদূর পথিকের জন্য প্রতীক্ষীয়মান।
কিন্তু কবিতার মতো করে,
কবি তার কাঙ্কিত নারীকে পাবে,
একথা কোথাও নেই।
শরৎতের আকাশের মতো মন,
যেমনি চাঁদ মেঘের আড়ালে ঢুকে,
আবার বাহির হয়।
মেঘগুলো যেন, উড়ে উড়ে ক্লান্তিহীন।
দেখে দেখে বুনি স্মৃতি, হয়ে উদাসীন।
মাঝে মাঝে ক্ষণপ্রভা বিদুৎ স্ফুলিঙ্গ মতো;
হৃৎপিন্ডের বাতাস বন্ধ হয়ে যেত,
নারীকে ভেবে ভেবে এমনি কতরাত কাটিয়েছি।
সন্ধ্যার এক করুন অপেরায়,
একজনকে দেখে
মেলোড্রামা বেজে উঠেছিল মনে,
প্রেয়সীর দুচোখে চোখ রাখতেই বুঝেছি,
শতদল পাপড়ি ছড়াতে একটি কলি,
ফুল হয়ে ফুটতে পরাগয়নের অপেক্ষায়।
প্রথমবার লিন্ডহোম থিওরিতে বাঁধলাম নিজেকে
সে আমার প্লেটোনিক প্রেমের বাসন্তী,
তার মুখ বিষণ মায়াবী,
চোখ ছিল জাদুর মোহ,
তার চোখে চোখ পড়তে,
আমার চোখ জলে ভিজে উঠত,
আমি চোখ সরিয়ে নিতাম,
আউট অফ ফোকাসে।
মুক্তডানার মেঘের মতো,
অভ্র নীল আকাশে
উড়ে উড়ে চলা পাখির মতো,
এমন কত ক্ষুনসুঠি,
কত কারচুপি
ভালোবাসা সীমাহীন,
চলছিল অভিরাম ধারায়,
নীলরঙা জুটি বেধে প্রজাপতি
যেমন ভেসে ভেসে বেড়ায়।
দিগলজোড়া আঁখি প্রিয়ার
দেখিত কত স্বপন,
ফ্রেমে বন্দী ছবির মতো
যাপন করিত জীবন,
শ্যাম গজানো কচিপাতা
শুকনা হওয়ার মতন।
প্রথমা পেন্সিলে আঁকা পরী
,হারিয়ে অচিন গাঁয়
নীল ছবিতে শুভ্র প্রেম,
স্মৃতিতে কাতরায়।
(লিন্ডহোম -মনোবিজ্ঞানী,প্লেটোনিক প্রেম-কামগন্ধহীন)