শূন্যতা আর জরাজীর্ণতা
মোঃ রায়হান কাজী
----------------------
শূন্যতা আর জরাজীর্ণতা কখনো এক হয় না,
তবুও আমরা কখনো নিজেকে সর্বশূন্য মনে করি।
আবার কখনো হয়তোবা আকাশের মতো করে,
বিশাল পৃথিবীর ক্ষুদ্রকোণে জরাজীর্ণ দেহটাকে
নতুন করে সকলের মাঝে আবিষ্কার করে চলি।
প্রতিদিন রাত পেড়িয়ে ভোর হতেই সূর্যাস্ত হয়,
আমরা তখন প্রস্তুত হয় আগামীকে এগিয়ে নিতে।
ঠিক কতটা এগিয়ে নিতে পারলাম আগামীকে,
সেই হিসাবটা দিনশেষে আর সমীকরণ মিলানো হয় না।
হয় না বিকালবেলার গোধূলিমাখা ধূসর দিগন্তের,
মৃদু আলো অনুভূতি নিয়ে বহুদিন ছুঁয়ে দেখা।
তারপরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি স্বপ্ন বুনছি,
নতুনত্বকে বরণ করতে গিয়ে বারবার মনে হয়
নিজের অজান্তেই আকাঙ্খাগুলোকে বিসর্জন দিচ্ছি।
নদীর স্রোতের মতো করে কেন জানিনা মনে হয়,
বারবার তীরে এসে গতি প্রবাহের দিক পরিবর্তন হচ্ছে,
সেই প্রবাহে তালমিলাতে গিয়ে মনুষ্যত্ব মূল্যবোধ হারাচ্ছি।
তবুও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নেশা চিরন্তন,
শূণ্যতায়ও বাঁধ মানে না ইচ্ছেগুলো উপেক্ষা করার।
তাইতো ছুটে চলছি আকস্মিকতায় হকচকিয়ে দিগন্তে,
গন্তব্যেহীন পথে জরাজীর্ণ পথিক হয়ে আস্তাচলে
নিরুদ্দেশের উপমা বেষ্টিত কল্পলোকের শহরে।