নিঃসঙ্গতা
মোঃ রায়হান কাজী
------------------
নিঃসঙ্গতাকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে গিয়ে,
কালের চক্রের বিবর্তন ঘটে অন্তঃ মস্তিকে।
প্রণয়নের রৌদ্র দীপ্ত কিরণে ঝলমলিয়ে,
স্মৃতির পান্ডুলিপি আঁকড়ে ধরে অস্থিসন্ধিকে।

কর্মব্যস্ত মহানগরীতে দিনশেষে স্নিগ্ধমায়ায়,
যখন আঁধার নেমে আসে শূণ্যতা তখন বাসা বাঁধে।
পাওয়া না পাওয়ার মৌনতা জাগরিত হয় অপূর্ণতায়,
যখন আক্ষেপগুলো পিছনে ফিরে যেতে বাঁধ সাধে।

পাহাড়সম টর্নেডো ঝরের মতো করে অসময়ে,
আন্তঃসম্পর্কগুলো ঝর্ণায় রূপান্তরিত হয় নিমিষে।
তারপর আবারও কাঁচা সোনা রৌদ উঁকি দেয় দেয়ালে,
দুর্বা ঘাসের ডগার মতো শিশির জমে দ্যুতি ছড়ায় ক্ষণিকে।

নিশ্চুপ হয়ে ভাবুক মনে প্রশ্ন জমে চোখের কার্ণিশে,
কৃত্রিম যান্ত্রিকতার সমন্বয়ের প্রতিশ্রুতির অন্তঃ আবরণে।
কতটুকু ঠিক ভরসা যোগান দিবে স্নেহ মায়া বার্ণিশে?
নাকি আমার প্রছন্ন সাধনার রূপ নিবে অন্তিম বিবরণে।

স্বপ্নময় অস্থির মনে কিঞ্চিৎ স্বস্তি আনতে গিয়ে,
ভাবনার অথৈজলে ডুব দিয়ে নতুনত্বের উদ্ভব কোলাহলে।
খুঁজে ফিরি কথামালার শব্দ ঝুরি পরিচিত শব্দে,
অতীত স্মৃতিটুকু এমনি করে থাকুক নিঃসঙ্গতায় অম্লান হয়ে।