হে প্রণেতাপতি, তুমি কেন আনমনা?
এসেছে শরৎ, তুলছো না কলম, করছো না কেন বন্দনা।
ধবল মেঘের ভেলা, কাশবনে করে খেলা, সুবহা নিক্কণ পায়।
শারদীয় সাজে সজ্জিত, হে কবিপতি, সে তোমার পদধূলি চায়।

শরতের লাগি মোর পদধুলিতে নাই প্রাণ।
তবে কেন করো মোরে মিছে আহ্বান?
মোরই প্রতীক্ষায় শরৎ নাহি থামি রয়।
নিজের পথ ঠিক করি, শরতের বায়ু ঠিকই বয়।

তবে কেন করো বন্দনার আহ্বান?
কারিয়া নিবেকি মোর মনপ্রাণ?
মোয় ছাড়া সবই চলে বেশ।
আমি বিনা পরিবেনা কোনো রেশ।

হটাৎই বারী আসে ক্ষণে ক্ষণে, রবি হাসে।
শুভ্রা শিউলি শরতকে ভালোবাসে।
ঋতুরানী স্নিগ্ধা হয় ভোরের শিশিরে।
মেঘ নীলিমার স্পর্শে ঋতুরাজকেও মনে পড়ে।

তব কেন মোর লাগি এহেন প্রতীক্ষা?
সারদা নাহি করেছে মোরই তিতিক্ষা।
তব কেন লও মোরে মিথ্যা মায়ায় জড়ায়ে?
আখিরে কেন ডাকো বার বার গড়ায়ে?