বিজয়, তুমিকি এসেছো?
না! তুমিতো আসোনি, বিজয়।
তোমায় আনতে গিয়েছিল
আমার ছেলের দল।
কারারক্ষীদের ফাকি দিয়ে
তুমিতো আসোনি,
তুমি রাগিনী হয়েছিলে,
বসেছিলে হায়নার আস্তানায়।
তোমায় আনতে আমার ছেলেরা
রক্তজবা হয়ে গেছে,
কৃষ্ণচূড়া হয়ে আমার বুকে
আচড়ে পরেছে।
মাঠে ঘাটে চঞ্চলরা
ছুটেছিল তোমার পানে,
ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল
রাজপথের হাওয়া।
কেন্দ্রীয় গৃহের প্রাঙ্গণে
মোর অযুত ছেলের
হুংকার ছিল।
তোমায় আনবে বলে
তারা সই দিয়েছিল,
খতম করবে সেই হায়নার দলে।
বিজয়, তুমিকি এসেছো?
না! তুমিতো আসোনি।
৭ই মার্চের ভাষণে
উঠেছিল মুক্তির ডাকে,
তরুণের হৃদয় জ্বলেছিল
স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি রাখে।
২৫ শে-র সেই বিভৎস কালো রাত,
অপারেশন সার্চ লাইটের
অমানবিক আঘাত,
তবুও ভয় পায়নি কেউ,
তরুণেরা ছিল অটুট লড়াইয়ের ময়দানে।
২৬ শে ওঠে শির উঁচা করে,
স্বাধীনতার দাবি তুলে ধরা,
যুদ্ধের প্রতিজ্ঞায় জ্বলে ওঠে
মাটির প্রতিটি কোণা।
১৬ই ডিসেম্বরের বিজয়ের দিনে
তরুণের বীরত্বের গান,
বুকভরা সাহস নিয়ে
তারা স্বাধীনতার মান।