মানুষ কেন পাহাড় হতে গিয়ে পাথর হয়?
যেন আত্মা থেকে হারিয়ে যায় সব নমনীয়তা।
ক্লান্তি কি এতটাই তীব্র হয়!
যে সমুদ্রের মতো উত্তাল স্রোত থেকে,
একদিন শান্ত নদীতে বিলীন হতে চায়।

মানুষ হারিয়ে ফেলেছে সেই দৃঢ় তা,
যা একদিন তীব্র ছিল।
এখন শুধু নির্বিকার বসুধা,
শান্ত নদীর মতো।
নিজের ছন্দে বয়ে চলে ধীরে।

কেন সঙ্গতার ভিড়ে থেকেও,
একাকী থাকার সান্ত্বনা খোঁজে মন,
মানুষ কি শ্রান্ত হতে শিখেছে?
আজ অতীতের উত্তেজনা থেকে,
নীরবতার গভীর অন্ধকারে
খুঁজে পায় যেন এক অদ্ভুত প্রশান্তি।

আলোয় যেমন সবকিছু স্পষ্ট দেখায়,
তেমনি অন্ধকার লুকিয়ে রাখে গভীরতা।
নিজেকে প্রকাশ না করেই,
অজানা, অচেনা এক অন্ধকারে,
মানুষ কি তবে খুঁজে পায়!
নিজের অস্পষ্ট, ছায়াময় সত্ত্বা?

হয়তো সে এক নতুন পথ,
নিজেকে জানার নতুন প্রান্তর,
যেখানে আলো আর অন্ধকারের মাঝে
মানুষ শুধু এক চুপ থাকা সত্ত্বা।