যদি জানতাম এটা আমাদের শেষ দেখা,
তবে অপলক দৃষ্টে তোমায় দেখতাম শেষ বারের মতো।
তোমার প্রিয় হাসনাহেনার গুচ্ছ গুজে দিতাম তোমার কর্ণ লতিকায়।
যার সুবাস জাদু মুগ্ধ করতো আমায় তোমার অন্তরিক্ষে।

যদি জানতাম তবে ক্ষণিক অভিমান না রেখে,
প্রাণোচ্ছল হাসিতে তোমায় হাসাতাম।
শুনতাম তোমার না বলা অবলা সব কথা,
ভোরের শিশির মারিয়ে তোমায় নিয়ে কিছু পথ চলতাম।
তোমার ভালোবাসার শেষ কিছু কথা শুনতাম।

যদি জানতাম, তবে অভিমানের দেয়াল ফুরে তোমায় আটকে রাখতাম।
সকল বিশ্ব তুচ্ছ করে তোমায় কাছেই রাখতাম।
মুঠো ফোনের রিংটোন কর্ণপাত না করে,
তোমার মনে কর্ণপাত করতাম।

আমার মতোই চা পিপাসু ছিলেতো তুমিও?
তবে দু'কাপ নয়, দু সমুদ্র চা উপস্থাপন করতাম, তোমার সামনে।
পৃথিবীর কঠিন তম কোন এক কাজ চাইতাম তোমার কাছে,
যার ছলে শেষ দেখাটা নতুন কোন এক দেখায় রূপ নেয়।

যদি জানতাম  এটা আমাদের শেষ দেখা,
তবে শেষ বারের মতো তোমায় নিয়ে একটি কবিতা লিখতাম।
গত তিন বছরে তোমার রাখা অপূর্ণ আবদার গুলো লিখতাম।
লিখে নিতাম প্রেমের এক নব গীতাঞ্জলি, উৎসর্গে তুমি।

যদি জানতাম, তবে তোমায় দেখতে চাইতাম খুব সাজে_
চোখে কালো কাজল, লাইট লিপস্টিক, খোলা চুল, হাতে শিউলি গাজরা ।
আমি খুব কাছ থেকে দেখতাম তোমায়,
কখনো না দেখা অদেখা সেই সাজে।
যা আগে কখন পরখ করিনি বিষদে, করা হয়নি।

যদি জানতাম এটা আমাদের শেষ দেখা,
তবে শেষ ইচ্ছে হিসেবে তোমায় একবার জড়িয়ে কাঁদতাম।
তুমি স্বভাবতই কথায় মনের ক্ষত দূর করতে পারো।
মনকে আত্তস্ত করে নিতে পারো নিজের মাঝে,
দিতে পারো শান্ত নিশ্বাসের পথ্য প্রলেপ।

এটা আমাদের শেষ দেখা জানলে,
ইচ্ছে করেই ফেরার পথে ভুল গাড়িতে উঠতাম।
আবার সঠিকের সন্ধানে তোমারি  প্রান্তরে,
থাকতাম আরো কিছু সময় তোমারি আবেশে।
যতটা থাকলে আজন্মের সাধ ঘুচে যেতো,
ঠিক ততটাই।

যদি জানতাম, তবে ক্লান্ত শরীরে তোমার কাঁধে,
শেষ শ্বাস খানা রাখার সাধ রাখতাম।
এখানে জীবনের জের টেনে তোমারি অগোচরে,
বিলীন করে দিতাম নিজেকে।
                                       (অরণ্য🌸)