কচুরিপানা -
=============
মোঃ রহমত আলী
=============
চলতে চলতে হঠাৎ থেমে যাওয়া,
থমকে থাকা নিজ ছায়াবিথীর
সনে,নিরবে নিরবে বিবাদ করা।
খুব বড় কোনও এক আনন্দে,
দুঃখের জলস্রোতে ভেসে যাওয়া।
ভাঙ্গনের নির্মমতায় কভু কভু
জোরেশোরে একাই
একা খুব হাসতে থাকা।

প্রথম সংগ্রামে একদাই
একা জয়ী হয়েছি,
শেষের যুদ্ধেও একাই একা
হেরেছি, আনন্দের ধ্রুবতারা
পারিনি-নি ধরতে যে কখনোই।
পলকেই সে খোয়া গেছে
খোয়াবের দরিয়ায় যে,
কচুরিপানার মাতন ভেসেই গেছে।

ভঙ্গিমার ললিতায়, কখনো ফুটে
গোবরে-ওতেই গভীর ভোরের,
নিশীথের-শিশিরের ভেজা-ভেজা
জলে, এক একটা-ই
কাশবনের সু'সুন্দর পদ্ম ফুল।
যুগে যুগে অবজ্ঞা-তিত আমি
কচুরিপানার মতোই ফুটন্ত ফুল।

বিষাক্ত সুন্দর পরো উপকারেই
প্রকৃত আনন্দন হয়তো গভীর।
সবার বেলায় সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ,
আমার বেলায় শুধুই শূন্য শূন্য।
তবু আমি ধন্য-ধন্য,সব জলের
ঢেউয়ে মিলে, জোয়ার-ভাটার
সনে মিশে যোগান দেই আরণ্যক।

০১.০৮.২০০৯  // ১৯.০২.২০২৩