চিৎকার !
============
মোঃ রহমত আলী
============
আমি চিৎকার দিয়ে বলতে চাই,
নির্দোষকে দোষী বলছো কেন ?
দোষী কে নির্দোষ বলে তার,
আগে পিছে সমাদরের তোষামোদ,
করছে যে আজ অনেকেই তাই !
আজও অন্ধ বাস্তবতার কাছে,
পরাজিত সত্যের নির্দোষ নিদর্শন।
নিজের দোষ অপরের কাঁধে চেপে,
দোষারোপ করো,বাহ তুমি কেমন সাধু !
নির্দোষের আর্তচিৎকারে প্রমাণিত হয়েও,
মিললোনা ন্যায়বিচার মিথ্যা-সাক্ষীতে,
তবেই তো হেরেছে সত্য,সত্যের শাস্তিতে।

আমি চিৎকার করে কাঁদতে চাই,
এই বন্দি পিঞ্জরে অসহায় পঙ্খীর মতো।
বলতে চাই,বোবা কণ্ঠের ভাষায়,
শব্দ করে,আমি নির্দোষ,মিথ্যাবাদী নই।
কলঙ্ক ঘুমন্ত সত্যের হতে-পারে,
যদি মিথ্যা জেগে থাকে অনন্তকাল !
দোষী পাড় পেল মহা সমুদ্রের ওপার,
নির্দোষী ধরাসায়ি ঘরের পুকুরে আবার।
তাই চিৎকার দেই মন চায়,যুগের তরে,
জানাই অন্ধের খুঁজে পাওয়া ঠিকানায়।
ঘুমন্ত আঁখি জাগ্রত হতে পারে চিৎকারে,
ভান-ধরা নিদ্রায় হিয়া জাগিবে কি করে ?

আমি চিৎকার দিয়ে হাসতে চাই,
হেরে যাওয়া বীরের মতো উল্লাসে,
পাগলামির উচ্চ হাসি মিশ্রিত আওয়াজে।
এছাড়া কি আর করার !
দোষী যখন নির্দোষের মুখোশে,
হাসছে সম্মুখে মুচকি হাসি।
তো হোক অবাধ সান্তনায়,অবাক যন্ত্রণা,
চিৎকার দেওয়াটাও হায় দুষকর।
অশ্রু-ঝরা কান্নার উপর বিধিনিষেধ,
আর মুখ লুকিয়ে হাসতে ও নিষেধাজ্ঞা।
কারণ দোষ যে গাধার ঘাড়ে চাপা,
এখন চিৎকার দিলে হয় মহাবিপদ।

আমি চিৎকার করে ধিক্কার দিতে চাই,
ঐ সব বহুরূপী বন্ধুবেশী দুশমনদের।
জানিয়ে দিতে চাই চুপিচুপি চিৎকারে,
আসল দোষী যে,তাকে মোবারকবাদ।
এই দরিয়া তো ভাই হয়ে গেলে পার,
নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চেপে দিয়ে।
মহান তুমি-মহা বাটপার,নির্বোধ চালাক,
নিরপরাধ কে অপরাধী বানিয়েই পার।
নির্দোষী দুখীর করুণ আত্মচিৎকার,
পৌঁছায় না তো আর !
আনন্দিত দোষীর মৃত বিবেক অবধি,
তবু নির্দোষী দীর্ঘশ্বাসে করে চিৎকার ॥

২০.০৬.২০২৩