তোমাকে খুব মনে পড়ে
জানি, তুমি কভু ভাব নাকো মোরে !
তবুও তোমাকে খুব মনে পড়ে ।
শরতের রাতে, চৈত্রের দুপুরে
কিংবা শ্রাবণের ধারার মাঝে
দিন দুপুরের মধ্য দিনে
আমার কাজের ফাঁকে নানান কাজে
আমার বুকে তোমার ধ্বনি বাজে
তখন তোমাকে খুব মনে পড়ে
জানি, তুমি কভু ভাবো নাকো মোরে।।
দিবস-শেষে ক্লান্ত আমি যখন পড়ি
লুটায়ে --
স্বপন মাঝে আসো তুমি সকল বাঁধা
টুটায়ে ;
কিংবা ভোরের নতুন আলোয় উঠি জেগে
শিহরে --
তোমার মুখের প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে
প্রথম প্রহরে ।
তখন, তোমাকে খুব মনে পড়ে
জানি, তুমি কভু ভাবো নাকো মোরে ।
আবার গ্রীষ্মের ঐ ক্লান্ত দুপুর
শেষে,
বিকেল ক্ষণে একলা বসে
ঘাসে --
তখন প্রকৃতির রূপ নিভে রাতের
আভাসে
ভাবি বুঝি কেউ এসেছে
পাশে --
কেউ তো নেই পাশে, থাকি একা
উদাসে !
তখন, তোমার কথা খুব মনে পড়ে
জানি, তুমি কভু ভাবো নাকো মোরে ।
আবার ফাল্গুনের ঐ মত্ত পবনে
চেয়ে থাকি আমি নীল গগনের পানে
গুনগুনিয়ে গানের মাঝে, থাকি তোমার ধ্যানে ।
তখন তোমায় খুব মনে পড়ে
জানি তুমি কভু ভাবো নাকো মোরে ।
আবার কালবৈশাখীর ঐ মত্ত প্রলয় ঝড়ে
যখন আমি থাকি বসে একলা বদ্ধ ঘরে।
কিংবা যখন, কৃষ্ণ মেঘে ছেয়ে থাকে
গগন--
বিষন্নতায় কাটে আমার অবেলার এই
লগন,
আবার হাড় কাঁপানো শীতের দিনে কুয়াশারি
ভিড়ে --
চাদর হয়ে থাকো তুমি দুই বাহুরি
তীরে।
তখন তোমায় খুব মনে পড়ে
জানি তুমি কভু ভাবো নাকো মোরে ।
তোমার সজল নয়ন
কিংবা কমল চপল
কিংবা ছোট্ট ঐ কেশে
মোর স্বপনে ভেসে উঠো বধূর বরণ বেশে !
কত নানান ছবি,
কতই মনের কথা
মনের কোণে রাখি পুষে নিয়ে ব্যাকুলতা।
এমনি করেই দিনের পরে
দিন চলে যায় ঝরে।
তখন তোমাকেই খুব মনে পড়ে
জানি তুমি কভু ভাব নাকো মোরে ।
রচয়িতাঃ- মুস্তাকিম
রচনাকালঃ- ১২/০৪/২০২০
উৎসর্গঃ- ইশরাত জাহান (নওরিন)।