কিছুদিন রহিয়াছি -পূর্ণ অবকাশে
  নিভ্রিতে শুয়েছি এই ঘাসে
অতীতের কত কথা এ মনে আসে
           আর ভাসে এই দু নয়ন;
         ছিল যারা প্রিয়জন
সকলি রহিয়াছে নিজ আনন্দ উচ্ছ্বাসে ।।
আমি তো কেবলি ভাবনাহীন!
এ দু-চরণ বাঁধা ছিল একদিন;
            এখন তব
       আনমনে এই মন
        চরিতেছি গগন ভুবন
          বেলা-অবেলায় যখন তখন।

এখন এ জীবন বাঁধাহীন
     একি কাজে কেটেছিল কিছুদিন  
   সেই পরাধীন বেড়াজাল ফেলে
নূতনের তালে তালে চলেছি ডানা মেলে
    মেতেছি প্রকৃতির রঙ্গে
           এই মাতৃ বঙ্গে,
এখানে কত প্রকৃতির খেলা
          কত রসের মেলা
          কত নিত্য বেলা অবেলায়
নদীর জলে কপোত কপোতির অজানা খেলা।
  কত মাছরাঙা আর শালিকের বিচরণ
    দেখেছি প্রতিক্ষণ
         ভেসেছে এই মন
             এই নব তরুণ যৌবন জীবন ।।

সেই কবেকার বহুদিন বহুজন
     ছিল এক অতীতের প্রিয়
      ছিল মধুমাখা কিছুক্ষণ
দিয়েছিনু  তারে ক্ষণে ক্ষণে প্রতিক্ষণ
                 বেসেছিনু ভালো
                     করেছিনু দান
   প্রতিদানে দিয়েছ ও সে ব্যথার দান!
           সকলি এখন অতীত
              এখন তব ছুটে চলা
কুয়াশার বুক ঠেলে মেঘের ভেলা
                 বেলা অবেলায়
            কিশোরী মেয়ের খেলা,
তারাই তো এখন মোর প্রিয়জন
                   মনে হয় যেন কত চিরচেনা
     কত হাসি- রাশি মাখা নব মুখ
                রহিয়াছে এ ভুবন জুড়িয়া
                          না জানি কত সুখ
কত আনন্দ উচ্ছ্বাসে কাটছে এ দিনক্ষণ
                      এই প্রানমন ।

আজি এই নব শীতের শিশির ভেজা পায়ে ছুটে চলা
      কিংবা শেষ বিকেলের নদীর বুকে
                      ভেসে ভেসে
       চলেছি কোন এর অজানা দেশে
               খুঁজিনি ফেরার পথ
                  ভাবিনি কিছুই
নেমেছে রাত্রি, আধার নিয়েছে পিছু ।
তিমির রাতে আধার আলোয় নদীর বুকে
              নব পথের যাত্রী
                   কেটেছে দিন-রাত্রি
     ফিরিয়াছি মোর গৃহে গভীর রাতে
                      আধারের সাথে
               এভাবেই কাটছে দিন প্রহর
ভেসেছে অতীতের শত গ্লানি এসেছে নতুন ভোর ।।

রচনাকাল :- ১৬ই কার্তিক ১৪২৮