এখন আমার ঘুম আসে
দ্বি-প্রহরেই ঘুম আসে !
নিরবে কত কথায় এ মনে ভাসে
শ্রাবণ দিনে মেঘ আসে
তোমার স্মৃতি মনে আসে
সুখের স্মৃতি হৃদয়ে ভাসে
কত কথায় যে মনে আসে ।
কত কথায় ছিল যে অজানা
ক্ষনিক দেখায় হল ক্ষনিক জানা
জানি তুমি কভু আসবেনা
তবুও আমি করিনি মানা ।


তারপরেতে -
এলে যখন শ্রাবণ বেলায়
একা দি-প্রহরে ভরা বরষায়।
এলে নিরব আঁখি মেলে
এলে মেঘের ভেলা ঠেলে।
নিভু নিভু মায়ার চোখে
ভিরু ভিরু কাঁপন বুকে
একা এসে আমার পাশে
ভিরু মনে ক্ষনিক বসে
গেলে যখন আমার সাথে
শ্রাবণ দিনের ভরা প্রাতে।
যাবার বেলায় তোমার সাথে
হঠাৎ মেঘের বুকটি ফেটে
নামন যখন বারির ধারা
তখন আমি আত্মহারা
রিকশা থেকে দ্রুত নেমে
নামনে তুমি ছাউনি তলে
আমি এসে তোমার পাশে
শ্রাবণ ধারায় ভুবন ভাসে
বৃষ্টি যখন থামল শেষে
ভাসল ভুবন নিরব আবেশে ।

       যখন হাঁটছি আমি তোমার পাশে
             তখন কত কথায় মনে আশে
               তখন আশে পাশে কেউ ছিল না।
                  মোরা নিরব পথের পথিক হয়ে
                       দুজন চলি গল্প বলি
                  তুমি শুধুই ভিরু মনে
                         বলছ কথা আমার সনে
                 দুই এক কথার জবাব দিয়ে
                        হাঁটছ আবার নিরব মন।
                     হেঁটে হেঁটে পথটি শেষে
                        থামলে যখন নদীর পাড়ে
                                দুজন গিয়ে বসনু শেষে
                                     ভরা ঢেউয়ের নদীর পাশে
                           আমি তখন বলছি কথা
                                  তুমি শুধুই শুনছ সেসব
                                      দুরের পানে আঁখি রাখা
                                 তোমার আঁখি শুধুই নিরব ।


ক্ষনিক বাদে হঠাৎ করে
নামন আবার বারির ধারা
দুজন মিলে দ্রুত দৌরে
গেলেম বিশাল ছাতার তলে ।
বসে দুজন পাশাপাশি
সামনে তখন বৃষ্টি আসি
ভরলো ভুবন ধারায় ধরা
তুমি আমি নিরব মনে আত্মহারা ।
দূরে ঐ নদীর মাঝে চরের বুকে
আছে ওরা অনেক সুখে -
শ্রাবন এর এই বারির ধারা
ক্ষনিক এসে পড়োছে মুখে।
দুই এক তরী কিনার ধরি
আসছে ভেসে তীরের কাছে
তুমি তখন তুষ্টি মনে
বসে আছ আমার পাশে
শ্রাবণ এর এই মত্ত বাতাসে
ঢেউগুলি শুধু আসছে ভেসে ।
ব্যাগটি হতে বাহির করি
ফুলটি তোমায় দিলেম ধরি
তুমি তখন বলেলে হেঁসে
ফুলগুলি নিলে ভালোবেসে
বললে ফুল আমার অনেক প্রিয়
এমনি করে আবার দিও (দিয়েন) ।

তারপরেতে, ক্ষনিক বাদে থামল বারি
                ফিরনু মোরা সে পথ ধরি
                     আশার বেলায় কতই কথা
                  সসব কথা আছে গাঁথা,
                        হাতে তোমার রজনিগন্ধা ফুল
                   ফিরতে মোদের হয়নিকো ভুল
                             ফিরার কালের ছাউনি তলে
                        বসনু মোরা ক্ষনিক সময়
                            তোমার মনে নেই কোন ভয়
                     নেই কোন আর আগের সংশয়।
                                 এমনি করে বিকেল বেলা
                               হলো মোদের মিলন মেলা
                            দুজন মিলে রিকশা বসে
                               ফিরনু যে যার নিজ আবাসে
                            এমনি করেই প্রথম দেখা
                                 রইলো এই হৃদয় মাঝে
                          প্রতি দিনের কাজের মাঝে
                                সেসব কোথাই আজ ও বাজে ।
                            জানি না তো সেসব কথা
                              তোমার মনে আছে কি গাঁথা ?
                               শ্রবণ দিনের ভরা বেলায়
                                   নিরব মনে সয়ন পাতা ।।

কবিতা-
প্রথম দেখা
মুস্তাকিম
২৮ ভাদ্র ১৪২৮
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজশাহী (দুপুরবেলা)