জীবনের এ পথ কোথায় গিয়ে ঠেকবে কে জানে
প্রাণের যত সঞ্চয় পুঞ্জীভূত করে আপন প্রাণে।
শত হতাশা, শত ভয়, যত পরাজয় এ জীবনে
দিন শেষে মিশেছে আজ মোর হৃদয় গৃহকোণে।
অতীত ভয় নিয়ে বিভোর দিনান্তের প্রতিক্ষণে
সুদিনের আশা নিয়ে নত স্থির আজি এই প্রান্তরে।
স্বজনেরা যারা তারা তো আশার দূত নিরাশার ছলে
দূরের প্রিয়জন আশা জাগায় আমার শুষ্ক হিয়া তলে।
মাঝে মাঝে নিজেকে পায় একা নিঃসঙ্গতার ঘোরে।
উৎবেগ হয়ে একাই বসে রয় এই নির্জন প্রান্তরে
ভাবি শত কথা শত ব্যাকুলতা জীবনের আয়োজনে
তোমার আশার বাণী এসে দূরে মেশে প্রতিক্ষণে ।

আমি শুধু বসে রই এই নির্জন রাত্রির রেলপথে
বাঁধা পড়ে আছি কোন এর অদৃশ্য জীবন রথে ।
রাতের দুরন্ত রেলগাড়ি যেমন ছুটে চলে চঞ্চলে
শত বাঁধা, শত ভয়, শত নিস্তব্ধতারে দূরে ফেলে।
তেমনি আমিও ছুটে যাব কোন এক অন্ধকারে
হয়ে আশার প্রদীপ ফিরিবো তোমার প্রাণদ্বারে।
জীবন পথ আজ সংকীর্ণ কত শত জটা জালে
তবুও আশা জাগে সুদিনের ভাবনার আড়ালে
ভেবেছি জীবন পথ হবে এই সরল পথের মত
মুছে যাবে অজস্র পরাজয় জীবনের যত ক্ষত।
হয়তো তাই বিধাতা জাগিয়ে রেখেছে আমায়।
আমি এই রেলপথে আমার জীবনপথ খুঁজে যায় ।


স্থান - লোকমানপুর (রেলস্টেশনে)
সময় - রাত্রি ৮.২০ মিনিট ।