মায়া নদীর শাখার কাছে স্কুল ঢগির বিলে,
ঠেকিয়ে আকাশ দাঁড়িয়ে আছে
এত বড় ফাঁকা খোলা ডানা ছড়ায় চিলে
আহা দেখি বারো মাসে।
ছড়ায় পাখি ঘুঘু টিয়ে আর কবুতর শালিক ছড়ায় তলে,
নাম না বলা পাখির সাথে প্রজাপতি ছড়িয়ে গেছে দলে।
কচি ধানের পাতার কাছে
সবুজ আচল এ কি মায়ের শাড়ি,
এপার ওপার যায়না দেখা পুবে আমার বাড়ি।
হায়রে ধানের মাথা জুড়ে ঢেউ উঠেছে সাড়া
বাতাস বুঝি ছুটছে বেগে নাচছে ধানের চারা।
কিছু দিনেই যাওয়ার পরে রঙ লেগেছে ধানে
নবান্ন ঐ আসছে ধেয়ে বলছে বাতাস গানে।
ধান কাটার পরে পরে সরিষার ক্ষেত নাম লিখেছে মাঠে,
এত গন্ধ এত সুবাস যায় কী কেনা হাটে?
চোখের ক্ষুধা যায় রে মিটে হেথায় আমার মন
বিকেল হলে দাঁড়িয়ে থাকি বিকেল যতক্ষণ।
এই যে মাঠের সৃষ্টি গুলো চাষা একা গিলে না ঢোক
খায় ডাক্তার খায়রে শিক্ষক খায়রে সকল খাদক।
এই যে হাতের সৃষ্টি গুলো সৃষ্টির মাঝে লুকিয়ে থাকে স্বপ্ন,
লুকিয়ে থাকে মনের ভেতর কেনে আনার রত্ন।
দিনে দিনে মানুষ বাড়ে জমি বানায় বাড়ি
যায় হারিয়ে সবুজের মাঠ হায়রে তাড়াতাড়ি।
এই যে দেখা সবুজ আমার এই স্কুলের বিল
থাকুক যেনো এমন ধারায়ঐ অপরূপ মিল।