ধানের উপর নেমেছে ছরিয়ে সবুজ ছবক,
প্রজ্ঞাপন জারি করে হেমন্ত শীত প্রভাবক।
একটি রাজার দাপট এখন বেশ! পরাজিত,
স্বাগত জানিয়ে হেমন্ত কাল দেখায় কথিত।

শিশির কণাও হাজিরা দিয়েছে ঘাসের মাথায়,
পথের ধারেই কেউ মেখে লয় পায়ের পাতায়।
ধানের ক্ষেতের কলাই ক্ষেতের সরিষার ক্ষেত,
বৃষ্টি হীনায় সৃষ্টি ছড়িয়ে করে স্যাঁতস্যাঁত।

তাপের এখন দমন পীড়নে হারালো ফাঁপর,
খুব দরকার ওই মানুষের এখন শীতের কাপড়।
শীতের রাজ্যে রাজ্য চালিয়ে ছাড়ছে ভীষণ ঠান্ডা,
গরীব দুখীর উদাম শরীরে মারছে বেতাল ডাণ্ডা।

ধীরে ধীরে তার শীতের রাজ্য চলছে কঠোর,
বেতাল মাঘের বেয়াদব শীত বয়েছে এপার,
থামিয়ে দিয়েছে ঘন কুয়াশায় চোখের আহার
অসহ্য তার খুব আচরণ যুদ্ধে বাঁচার।

ঘুমিয়ে রয়েছে উচ্চবিত্ত নিম্নবৃত্ত রা জেগে,
ঘনিষ্ঠ হয়ে আঁধার পেঁচিয়ে ঠান্ডা আসছে কী রেগে।
থমথমে রাত সূর্য ওঠার অপেক্ষা হয় পালা
উত্তর থেকে ধেয়েই আসছে মুসিবতে বালা।

সুঁইয়ের সুচে গাঁথে কাটা রাত অদৃশ্য সুচ ঠুকে,
অনাথ শিশুও বৃদ্ধ কাঁপছে ঠান্ডা যুদ্ধ মুখে।
হায় ধনাঢ্য দালান কোঠায় ঠাঁই দিবি কার তাতে,
লক্ষ টাকার উৎসব করো আজ শুধু বেহুদাতে।

মাটিতে যাদের রাত্রি যাপন ওরা কী! মানুষ নয়,
বিবেক পচলে গন্ধ আসে না মানবতা ধরে ক্ষয়।
স্নিগ্ধ শিশিরে কী আশ্চর্য দেখতে গিয়েছ তবে,
ঐ গরীবের একটু খবর  নিয়েছিলে সেই কবে?