ভাবতে আমার অবাক লাগে মায় গিয়েছে মারা,
অবহেলায় অযত্নে তার রেখেছিল যারা।
রোগ শরীরে ভাত রাঁধিত কাপড় কাচত নিজে,
সারা বাড়ি আগলে রাখত রোদ বৃষ্টিতে ভিজে।
নিজের পেটের ক্ষুধার জ্বালা আমায় বলতো খা,
নিজের খাবার আমায় পাতে তিনি আমার মা।
রাতের বেলা তরকারি জ্বাল দিতে হতো কষ্ট,
আবদার করত ফ্রিজ আনতে তরকারি হয় নষ্ট।
একটা গ্যাসের চুলার জন্য বলছে কত বার!
কে আনে আর আছে নাকি টাকার কুলাঙ্গার।
একটা পাকা বাথরুম আনতে বলছে বসত বাড়ি,
আনে নাই কেউ দুঃখ নিয়ে গেছে জগৎ ছাড়ি।
মায়ের সম্পদ বেইচে গেছে ঐ বিদেশের তরে,
ডাইলের পানি খেয়ে খেয়ে জীবন কাটত ঘরে।
মরার কালে হাঁপানি হয় দিলো রসুন বেটে,
এতগুলো রসুন খেয়ে জীবন রয়নি পেটে।
বাড়ির দরজায় মাটি দিলো কবর দিলো তার,
কুত্তা বিলাই হাঁস মুরগিরা আসন বানায় যার।
আমার মায়ের দুঃখ দেখলে খোদার আরশ কাঁপে,
মায়ের কবর হয়নি পাকা বাথরুম পাকা মাপে।