ওহে রাষ্ট্র প্রতিনিধি গণ ৷
মাননীয় সরকার মহোদয় গণের প্রতি আমার,
অনুনয় আবেদন ৷
ওহে সারা বিশ্বের সকল,
মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিনিধি গনে,
কোন কিছু আকার ইংগিতে না বলে,
সোজা করিলাম রচনে ৷
সৃষ্টিকর্তার সংবিধান ব্যাতিরেখে,
কি ভাবে করো রাষ্ট্র শাষনে?
মানুষ কি তা কখনো,
কোন সময়ে করতে পারে?
মানুষ কি তা কখনো,
মানুষের চালানোর আইন করিতে পারে?
একটু বিবেকের জ্ঞান দিয়ে,
দেখনা চিন্তা ভাবনা করে?
একটি উদাহরণ না দিলে,
তোমাদের জ্ঞানে আসবেনা,
সেই উদাহরণটি দিলাম,
ভেবে দেখো মনোযোগ দিয়া ৷
মনে করো তোমরা একটি,
যান্ত্রিক যন্ত্রের আবিস্কারক,
সেই যন্ত্রটি চালানোর জন্য,
কে করিবে বিধান নির্ধারক?
তোমরা সেই যন্ত্রটি চালানোর,
বিধান না দিলে-
সে যন্ত্রটি চলবে কি ভাবে?
তারা কি তোমাদের চেয়ে বিজ্ঞ?
সহজেই বুঝতে পারবে?
অবশ্যই ভুল উত্তর দিবেনা,
সঠিক উত্তর দিবে,
আমাদেরকে দিতে হবে,
সেই যন্ত্রটি চালানোর বিধি বিধানে ৷
আমাদের বিধি বিধান ছাড়া,
সেই যন্ত্রটি চলবেনা,
আমরাই হলাম তার আবিস্কারি ,
আমরাই হলাম তার বিধানদাতা ৷
আমরাই শুধু জানি সে কি ভাবে চললে,
থাকবে সারা জীবনের জন্য ভালো,
আমরাই শুধু জানি সে কি ভাবে চললে,
থাকবে সারা জীবনের জন্য কালো ৷
যে কেহ ব্যবহার করুকনা কেন?
আমাদের বিধি বিধান মানতে হবে,
আমাদের বিধি বিধান ছাড়া ,
কেহ যন্ত্রটি চালাতে না পারবে ৷
এখন আমার প্রশ্ন তোমাদের প্রতি?
তোমাদের সৃষ্টিকর্তা কে?
অবশ্যই উত্তর দিবে ঐ আল্লাহতাআলা,
তাহলে তোমাদের চালানোর বিধি বিধান,
কে দিবে ভেবে চিন্তে বলোনা ?
কার বিধি বিধানে তোমাদের কে?
চলতে হবে এই ধরণীর বুকে?
এখন কি উত্তর দিবে?
তবে যে উত্তর দেবে ভেবে চিন্তে দিবে?
আমি যানি উত্তর দিতে?
অনেক যুক্তি দেখাবে,
তবে জ্ঞানী হলে,
আল্লাহতাআলাকেই বলিবে ৷
সেই আল্লাহতাআলার বিধি বিধানে,
তোমাদেরকে চলতে হবে,
সেই আল্লাহতাআলাই হলো,
তোমাদের সকল কিছুর বিধান কর্তায়ে ৷
সেই আল্লাহতাআলাই জানে,
তোমরা কোন পথে চললে থাকবে ভালো,
সেই আল্লাহতাআলাই জানে,
তোমরা কোন পথে চললে থাকবে কালো ৷
তাই ভেবে আল্লাহতাআলা পাঠিয়ে দিলো,
তার শ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ,
সে আল্লাহতাআলা জানে আমার বান্দা,
অন্য কারো বিধি বিধানে চললে,
আমার বান্দা হয়ে যাবে ক্ষতিগ্রস্থ ৷
যেমন পৃথিবীর মানুষ গুলি,
তাদের যান্ত্রিক যন্ত্রের আবিস্কারের,
বিধি বিধান না মানলে,
যেমন যান্ত্রিক যন্ত্রটি হয়ে যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৷
এর পরেও কি?
তোমাদের ফিড়বেনা জ্ঞানে?
আরো কত কাল চালাবি?
মানুষের আইনের শাষনে ৷
মানুষ কখনই মানুষের চালানোর আইন,
রচনা করিতে পারেনা,
যেহেতু মানুষ নয় মানুষের সৃষ্টিকর্তা ৷
সৃষ্টিকর্তা ব্যাতিরেখে কেউ,
সৃষ্টির আইন রচনা করিতে পারেনা,
তার বাস্তব প্রমান,
তোমাদের আবিস্কৃত যন্ত্রটির আইন,
তোমরা ছাড়া যেমন,
আর কেহ রচনা করিতে পারেনা ৷
তেমনি মানুষের চালানোর আইন,
আল্লাহ ছাড়া আর কেহ
রচনা করিতে পারেনা,
আর কেহ রচনা করিলে,
সে আইন হবে ধ্বংসের নিশানা ৷
অবশ্যই মানুষের গড়া আইন দিয়ে,
মানুষ চললে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত,
তার বাস্তব প্রমান,
আজ তোমাদের দেশের সারা বিশ্বের,
সকল দেশের মানব রচিত গণতন্ত্র ৷
এই গণতন্ত্রের বিধানে কোন দেশ কি?
কোন জাতি কি? সুখী হতে পেরেছে?
সবাইতো দেখি মারামারি কাটাকাটি,
ফিতনা ফ্যাসাদে নিম্মজিত আছে ৷
আমি কসম করে বলতে পারি,
পারবেনা কোন দেশ,পারবেনা কোন জাতি,
গণতন্ত্রের বিধানে শান্তিতে থাকিতে,
যেহেতু গণতন্ত্রের বিধি বিধান হলো,
জনগনের নিয়ম নীতি জনগনের ধারাতে ৷
অধিক মানুষের সমর্থনে,
গণতন্ত্রের আইন বাস্তবায়নে,
অধিক মানুষের অসমর্থনে,
গণতন্ত্রের আইন প্রত্যাখানে ৷
একটি আইন করার জন্য মানুষেই শ্রেষ্ঠত্ব,
একটি আইন বর্জনের জন্য মানুষেই যথেষ্ঠ৷
এই হলো গণতন্ত্রের নীতি নৈতিকতা,
মানুষ যাই হউক না কেন,
অধিক ভোটের মাধ্যমে হয়,
নেতা নীতি নির্বাচিতা ৷
এখন যুক্তিতে আসি,
তোমাদের গণতন্ত্র নিয়ে,
গণতন্ত্র কি?
সঠিক আইন দিতে পারিবে?
এর আগে একটি অধিক প্রবাদের কথা বলি,
ভালোর সঙ্গে চললে ভালো,
খারাপের সঙ্গে চললে খারাপ,
বলেছে সারা বিশ্বের সকল বিজ্ঞ জ্ঞানী ৷
এখন ভালো খারাপ,
কি ভাবে সনাক্ত করা যাবে?
আমি বলবো সৃষ্টিকর্তার ইবাদতের মাঝে,
সনাক্ত করা যাবে ৷
যারা সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করবে,
সে সকল মানুষ গুলি ভালো,
আর যারা সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করবেনা,
সে সকল মানুষ গুলি কালো ৷
এখন দেখি সৃষ্টিকর্তার ইবাদত,
কত জনে করে,
দেখি পরিসংখ্যানে,
শতকরা পাচ জন করে,
আর বাকি গুলো থাকে,
হাটে বাজারে ঘরের ভিতরে ৷
ওরা কি কখনো চাবে,
সমাজে সঠিক বিধি বিধানে?
ওরাতো সর্বদাই চাবে,
ভোগ বিলিসিতার বিধি বিধানে ৷
তাইতো ওরা কখনই ভোট দিবেনা,
যোগ্য ভালো সাধু নেতাকে ৷
এইতো হলো গণতন্ত্রের রীতি নীতি,
অধিকাংশ ভোট পরে,
যোগ্য নেতার পরিপন্থী ৷
যেহেতু সমাজের,
কিঞ্চিত পরিমাণ লোক,
সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করে,
সেই কিঞ্চিত পরিমাণ লোকেই,
যোগ্য নেতাকে ভোট প্রদান করে ৷
যেহেতু অধিকাংশ ভোট গুলি,
যোগ্য নেতার বিপরীতে পরে,
তাইতো দেশে অযোগ্য নেতারা,
ভোটে জয় লাভ করে ৷
তাইতো আজ কিছু দেশে,
জেনা ব্যাভিচারের বৈধতা দিয়েছে,
তাইতো আজ কিছু দেশে,
পুরষে পুরষে মেয়ে মেয়েতে,
সমকামিতা বিবাহ, বৈধতা দিয়েছে ৷
এইতো হলো,
গণতন্ত্রের ভোটের ফলাফল,
গণতন্ত্রের আইন নির্বাচন করে,
অধিক জনগন জনবল ৷
হয়তো এবার তোমাদের,
মস্তিকের ভিতরে প্রবেশ করেছে,
গণতন্ত্র দেশ জাতি ধর্মের,
কত ক্ষতি করিতেছে?
সেই গণতন্ত্রের পিছে ছুটছি মোরা সকলে,
কেন নিজ হাতে তুলে দিচ্ছো?
দেশ জাতি ধর্ম ধ্বংসের কোলে?
ফিড়ে এসো ওহে,
বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিনিধি গণে,
সৃষ্টিকর্তার সংবিধান দিয়ে,
করো রাষ্ট্র পরিচালনে ৷