আমার জীবনে কঠিন কাজ বলতে
শুধু তোমার মন জয় করাকে বুঝতাম।
জানো, তোমাকে খুশি রাখার জন্য আমি কত কী যে ভাবতাম!
তোমাকে শুধু একটুখানি হাসানোর জন্য
কত কিছু ভাবতে ভাবতে কয়েক ঘণ্টা পাড় হয়ে যেত।
যেদিন তোমাকে হাসাতে পারতাম,
সেদিন আমি নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান মনে করতাম।
সারাদিন পরিশ্রমের পর পারিশ্রমিক হাতে পাওয়ার পর
শ্রমিক যতটা খুশি হতো-
আমি ঠিক ততটাই কিংবা
তার চেয়েও বেশি খুশি হতাম তুমি একটু হাসলে।
কারণ তোমাকে খুশি করার কাজটা
আমার জন্য অনেক কষ্টকর ছিল।
তবুও তা করতে আমার কাছে ভালো লাগতো।

কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাবনার পরেও,
নানান হাসিঠাট্টার কথা বলার পরেও,
যখন তুমি হাসতে না, হাসতে চাইতে না-
তখন আমার বুকের মধ্যে কষ্টের বারুদ ফুটতো।
আমি জানতাম তুমি ইচ্ছে করেই হাসি আটকে রাখতে,
আমি বুঝতাম তুমি আমার থেকে দুরত্ব চাচ্ছো,
জানার পরেও, বুঝার পরেও অবুঝের মতো থাকতাম।
কারণ তোমার সাথে দূরত্বের কথা আমি ভাবলে
আমার কষ্ট হতো।
বিশ্বাস করো, বিশ্বাস করো ভীষণ কষ্ট হতো।

কিন্তু যখন বুঝলাম আমার শত চেষ্টার পরেও তুমি হাসবে না,
আমার এত এত ভাবনা তোমার কাছে তুচ্ছ,
আমার ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়গুলো তোমার কাছে মূল্যহীন,
তখন থেকে আর তোমাকে হাসানোর চেষ্টা করিনি।
কারণ আমি বুঝলাম, আমার এই চেষ্টাতে
তুমি বিরক্ত হও।
আর আমি চাই না তুমি কারো জন্য অস্বস্তি বোধ করো,
আর সেটা যদি আমি হই, তাহলে তো তুমি দ্বিগুণ বিরক্ত।
সবশেষে যার কাছে স্বস্তি পাও,
তার কাছে হাসিখুশি থেকো।
আমি ধরে নিয়েছি, তোমার অবহেলার আঘাতে
আমার ভাবনাদের মৃত্যু ঘটেছে।