পৃথিবীতে কঠিন কাজ বলতে পুরুষের স্বপ্ন পূরণকেই বুঝি।
পুরুষের স্বপ্নে কখনো নিজের কিছু থাকে না,
পুরুষের স্বপ্নে নিজের স্বার্থ পূরণের কিছু থাকে না,
পুরুষের স্বপ্নে শুধু পরিবার থাকে।
বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানের ইচ্ছাপূরণই হলো
পুরুষের স্বপ্ন।
এই স্বপ্ন পূরণে পুরুষ বাড়ি ছাড়তে পারে,
নিজের শখ আহ্লাদ ছাড়তে পারে,
নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছাগুলো গোপনেই দমিয়ে রাখতে পারে।

যে ছেলেটি বাবা-মা ছাড়া নিজেকে সামলাতে পারতো না,
সে ছেলেটি এখন বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিয়েও
সব সামলাতে পারে।
বাবা-মাকে ভালো রাখাই তার বড় স্বপ্ন।
যে পুরুষ কোনো এক নারীর প্রেমে সব ছেড়ে এসেছিল,
সে এখন সেই নারীর ইচ্ছাপূরণে অনেক দূরে চলে গিয়েছে।
নিজের প্রিয়তমাকে ভালো রাখাই তার স্বপ্ন।
যে পুরুষের আদর ছাড়া তার সন্তানরা ঘুমাতে যেতো না,
সেই আদরের সন্তানদের ছেড়েও এখন সে থাকতে শিখে গেছে।
সন্তানদের সুন্দর জীবন গড়াই তার স্বপ্ন।

নিজের দেহটাকে বাহন বানিয়ে সারা দিন-রাত খাটুনির পর
প্রিয় মানুষের মুখে হাসি দেখাটাই পুরুষের স্বপ্ন।
নিজের সকল ক্লান্তি ভুলে গিয়ে
আপন মানুষদের সুখে রাখাই পুরুষের স্বপ্ন।
নিজের দুঃখগুলোকে 'ধুর' বলে তাড়িয়ে দিয়ে
পরিবারের দুঃখ দূর করাই পুরুষ মানুষের স্বপ্ন।
যখন আপন মানুষগুলো তার এসব ত্যাগ বুঝতে চায় না,
জানতে চায় না তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কথা,
বুঝতে চায় না তার দুঃখ ও ব্যথার অনুভূতি,
তখন মানুষটি ভেঙে পড়লেও স্বপ্ন ভুলে যায় না।

পুরুষ মানুষের স্বপ্নগুলো অপ্রকাশিতই রয়ে যায়।
যদি কখনো প্রকাশ করা হতো কোনো পুরুষের নিশ্চুপ স্বপ্নগুলো,
আঁতকে উঠতো পুরুষকে দুঃখ দেওয়া
সকল নিরপরাধ মানুষগুলো,
কান্নায় ভেঙে পড়তো পুরুষ কাঁদানো
অতি প্রিয় মানুষগুলো।
তবে প্রকাশ না হোক পুরুষের সোনালী স্বপ্নগুলো,
ব্যথা আসুক, দুঃখ আসুক-
তবুও পুরুষের স্বপ্ন সাজুক অপরকে ভালো রাখার।