মুসলিম হলো বীরের জাতি—
যে জাতির বুকে ভয় বলে কিছু নেই,
যে জাতির রক্তে মিশে আছে বদরের বালু,
উহুদের পাহাড় আর কারবালার শোকগাথা।
তারা জন্মায় আল্লাহর নামে,
আর মৃত্যুকেও বরণ করে হাসিমুখে।
তাদের হাতেই ছিল জ্ঞান, সাহস আর সভ্যতার চাবিকাঠি।
তাদের বুকের ভেতর ছিল অগ্নির মত বিশ্বাস।

তারা কাঁপিয়েছে রোম-পারস্য,
তাদের ধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে স্পেন থেকে সিন্ধু নদ পর্যন্ত।
তারা গড়েছে কুতুব মিনার,
তারা লিখেছে বুখারি, মুসলিম আর তাফসিরের অমর ইতিহাস।
তারা ছিল তলোয়ারের সৈনিক, কলমের যোদ্ধা—
তারা ছিল কিবলার প্রতি দৃঢ় আত্মনিবেদিত এক জাতি।

তারা শিক্ষাদান করেছে ইউরোপকে,
তাদের কাছেই শিখেছে গণিত, চিকিৎসা, দর্শন ও নৈতিকতা।
তারা পড়িয়েছে "ইকরা"র পাঠ,
যেখানে প্রতিটি অক্ষরই ছিল মুক্তির চাবিকাঠি।

তারা ছিল আব্দুল কাদের জিলানির অনুসারী,
তারা ছিল সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরি,
তারা ছিল ওমর ফারুকের মতো ন্যায়ের দৃষ্টান্ত।
তাদের প্রতিটি পা ছিল জান্নাতের দিকে,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

তারা ক্ষুধা সহ্য করেছে,
তারা বুকে পাথর বেঁধে লড়েছে জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে।
তারা কাঁদে নামাজে, হাসে জিহাদে।
তারা হাত তোলে ফরিয়াদে, বুক চিতায় দানবের বিরুদ্ধে।

তারা ছিল মক্কার গলি থেকে মদিনার মিম্বার পর্যন্ত বিজয়ের দূত।
তারা কেঁদেছে কারবালার ময়দানে,
তারা হাসতে হাসতে বরণ করেছে শহীদি মৃত্যু।

তারা হৃদয়ে কুরআন ধারণ করে,
তাদের জীবনে সুন্নাহই পথের আলোকবর্তিকা।
তারা প্রতিদিন আত্মশুদ্ধির সংগ্রামে,
আর প্রতিরাত কাটায় আত্মসমালোচনার আয়নায়।

তারা প্রেম করে আল্লাহর সাথে,
আর ভালোবাসে রাসূলের নামে।
তারা রক্ত দিয়ে আঁকে ঈমানের রেখা,
শহীদের রক্তে রঞ্জিত করে ইতিহাসের পাতা।
তারা পশ্চাতে ফিরে তাকায় না—
তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি।

মুসলিম মানেই সাহস।
মুসলিম মানেই আলো।
মুসলিম মানেই অন্ধকারকে বিদায় জানানো—
আর জাগতিক লোভ লালসাকে পদদলিত করে
আখিরাতের দিকে ছুটে চলা।
মুসলিম মানেই ইতিহাসের ধারক,
ভবিষ্যতের নির্মাতা।