ভালোবাসার মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা হলো
অবহেলার প্রথম ধাপ।
যতদিন ভালোবাসা লুকিয়ে রাখা হয় নিজের মধ্যে
ততদিন মানুষটি সুখী, ততদিন মানুষটি ব্যথাহীন।
যখনই বুকভরা আশা নিয়ে,
ভালোবাসা পাওয়ার গভীর তৃষ্ণা নিয়ে
হুট করে তাকে 'ভালোবাসি' বলে দেওয়া হয়,
তখন থেকে মানুষটির প্রতি তার অবহেলা জন্ম নিবে।
'ভালোবাসি' কথাটি বলার পূর্ব পর্যন্ত
যে মানুষটি তার গুরুত্বের তালিকায় প্রথমে ছিল,
যার স্মরণে তার অধিকাংশ সময় পাড় হতো,
যার কণ্ঠস্বরের শব্দ তার মনে অন্যরকম
বাতাস প্রবাহিত হতো,
'ভালোবাসি' কথাটি বলার পর থেকে
সে মানুষটি তার গুরুত্বের তালিকায় পরিবর্তন হতে শুরু করবে,
তার স্মরণ ছাড়াও কয়েক রাত-দিন কেটে যাবে,
তার কণ্ঠস্বরেও তখন তাকে আর মুগ্ধ করবে না।
যে মানুষটির চোখের দিকে তাকালে তার মনে হতো
খুব চিরচেনা কেউ,
যার ছায়ায় বসে দেখতো রং-বেরঙের রংধনু,
যার হাসিতে তার মনে সৃষ্টি করতো প্রশান্তিময় ঢেউ,
যে কাঁদলে তার মনে হতো কোথাও কিছু থেমে রয়েছে,
'ভালোবাসি' কথাটি বলার পর থেকে
তার এসকল অনুভূতিতে পরিবর্তন দেখা দিবে।
ইচ্ছে হবে না আর মানুষটির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে,
ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে অপরিচিত একজন।
তখন আর সেই মানুষটির হাসিতে তার মধ্যে
আসবে না সুখের কোনো ঢেউ।
মানুষটির কান্নায়ও আসবে না মন খারাপের ক্ষণ।
তবে ভালোবাসা কি এমনই হয়ে থাকে?
তাহলে কি বলা যায়, ভালোবাসা আড়ালেই সুন্দর।
ভালোবাসা প্রকাশ করার পর যদি
ফিরে না আসে অপরের ভালোবাসা,
যদি অনুভব করা না যায় ভালোবাসার তৃপ্তি
তবে নিজের মধ্যেই থাকুক অফুরন্ত সব ভালোবাসা।
কারণ ভালোবাসা প্রকাশ করাই হলো অবহেলার প্রথম ধাপ।