মোমবাতি চেনেন তো?
যা বিপদে পড়লে মানুষ খোঁজ করে।
সারা বছর মানুষ মোমবাতির খোঁজ রাখে না।
বলা হলো আজ রাতে লোডশেডিং থাকবে।
এইতো শুরু হলো মানুষের মোমবাতি খোঁজা।
অতঃপর লোডশেডিং-এ তারা মোমবাতিকে জ্বালিয়ে রাখে।
খানিকবাদে যখন লোডশেডিং চলে যায়,
বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হয়ে যায় পুরো ঘর,
তখন খুবই অযত্নে মোমবাতিটাকে নিভিয়ে
ঘরের কোন এক কোণে অযত্নে সেটাকে ফেলে রাখা হয়
কিংবা ময়লা ভেবে বাইরে ছুঁড়ে ফেলা হয়।

এমনই পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে,
যারা অপর একজন মানুষকে মোমবাতির মত ব্যবহার করে।
যখন সে বিপদে থাকে,
যখন ওই মানুষটিকে তার প্রয়োজন হয়,
যখন সে অনুভব করে যে আমার একজন মানুষের সাহায্য দরকার,
তখন ঐ মানুষটির কাছে ছুটে যায়।
তখন এমন একটি ভাব তার ভিতরে জাগ্রত হয়,
যেন ঐ মানুষটি তার সবচেয়ে বড় আপন।
ঠিক যখনই তার প্রয়োজন মিটে যায়,
পূরণ হয়ে যায় তার অভাবের ঘর,
ঠিক তখনই মোমবাতির মতই তাকে ছুঁড়ে ফেলে রাখা হয়।
এই মানুষগুলো ভাবে না যে, আমার আলোহীন ঘরে
এই মোমবাতিটা আমাকে আলো দিয়েছিল।
একবারের জন্যেও ভাবে না যে, আমার খারাপ সময়গুলোতে
এই মানুষটি আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল।

তবে কিছু মানুষ মোমবাতি হয়েই থাকতে চায়।
আলোহীন ঘরে আলো দেওয়ার পরেও যে পায় না একটু যত্ন
তারা কখনো আশাও করে না কোনো রত্ন।
তারা মানুষকে আলো দিতে চায়,
অপরকে আলোকিত করতে চায়,
কিন্তু নিজেরা পুড়তে পুড়তে কখন শেষ হয়ে গেল,
কখন ফুরিয়ে গেল জীবনের আয়ু,
সেদিকে তাদের খেয়াল থাকে না।
দিনশেষে তারা হয়ে যায় মানুষের কাছে ছুঁড়ে ফেলা মোমবাতি।