মায়েরা কখনো সত্য বলে না।
সবসময়ই তারা সত্যকে আড়ালে রাখে।
রাত-দিন এত খাটুনির পরে
ক্লান্ত শরীর নিয়েও বলতে পারে_
'আমি ঠিক আছি।'
ছেলে-মেয়ের এত এত চাহিদার ভীরে
নিজের দু'বছর আগের
পুরোনো শাড়িটাও
নতুন বলে চালিয়ে দিতে পারে।

সারাদিন না খেয়ে থাকলেও
সন্তানের মুখে খাবার না দেওয়া পর্যন্ত
বলবে না যে,
'আমার ক্ষুদা পেয়েছে!'
মায়েরা বুঝি এমনই হয়।

বাবার বিষাক্ত কথায়
অধ রাত কেঁদেও
কাউকেই বুঝতে দিবে না যে
কিচ্ছুটি হয়েছে।
শাশুড়ির কথা, ননদের কথা
কত ক্ষত করে তার মনে।
তবুও নিজের কষ্টকে আড়াল করে
সবাইকে হাসি-খুশি রাখে।

যে ছেলের জন্য সারাটি জীবন
ত্যাগ করতে করতে এসেছে,
সেই ছেলেটিও একটা সময়ে
মাকে_ কষ্ট দিয়ে কথা বলে।
তার আদরে গড়ে তোলা কন্যাটিও
পর-পুরুষে আসক্ত হয়ে
মায়ের সাথে মিথ্যে বলে
দিন-রাত পাড় করে দেয়।
মা_ সবই বুঝেন।
তবে বুঝতে দেন না।

মায়ের শাড়ির আঁচলই জানে
মায়ের চোখের পানির ধরণ কেমন হয়!
তার দীর্ঘশ্বাসের সাক্ষী হয়ে থাকে
প্রতিটা অন্ধকার রাত্রী।

মায়ের কষ্ট কেউ গণ্য
না-ই করতে পারে,
তার চোখের পানির মূল্য কেউ
না-ই দিতে পারে,
তার নীরব আচরণকে কেউ
তুচ্ছ করতেই পারে।

তবে, মনে রেখো_
তার হৃদয়ের ব্যথাও
আমাদের ক্ষমা নাও করতে পারে।