গত ঈদে আব্বা কইছিল,
'সামনের ঈদে আমরাও গরু কিনমু,
আমরাও কুরবানি দিমু।'
শুইনা আমি মেলা খুশি হইছিলাম।
সব বন্ধুরে কইছিলাম সামনের ঈদে
আমরাও মেলা গোশত পামু।
আইজ সেই ঈদ চইলা আইলো।
কিন্তু আব্বা গরু কিনে নাই,
কুরবানিও দেয় নাই।
কান্নামুখে আম্মারে কইতে গেছিলাম,
আম্মা ঝাড়ি দিয়া কইলো,
'গরীবের আবার কিসের কুরবানি!'
ভয়ে ঘর থাইকা বাইর হইতেই দেখলাম
তপু, সাইদ, রকিরা গরু নিয়া যাইতাছে,
আমারে দেইখা কইতাছিল,
'কিরে! তোরা নাকি গরু কিনবি, কই গরু?'
আমি কিছু কইতে পারলাম না।
খানিক পরে আব্বা কাঁধে হাত রাইখা কইল,
'বাবারে! আমরা গরীব মানুষ।
আমরা কুরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নাই।
তুই বড় হইয়া যহন মেলা বড় চাকরি করবি,
তহন আমগো মেলা টেহা হইবো।
তহন আমরা গরু কিনমু, কুরবানি দিমু।'
কথা কইতে কইতে দেখলাম
আব্বা চোখের পানি মুছতাছে।
আব্বারে কইলাম,
'আব্বা! গরীব হইলে যদি কুরবানি দেওন না যায়,
তাইলে আল্লাহ আমগোরে এত
শখ কেন দিল?'
আব্বা কিছু না বইলা চইলা গেল।
রাইতে একা একা ভাইবা বুঝলাম
'আমরা গরীব মানুষ,
আমগো এত শখ রাখা যাইবো না।।'