লক্ষ লক্ষ জনতা ঘোষণার অপেক্ষায়।
অতঃপর সন্ধ্যায় ঘোষিত হলো-
প্রতিটা পাড়া-মহল্লায় পৌঁছে গেল,
প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।
পরেরদিন ভোর থেকে গণমিছিলের আগমন-
ঢাকার প্রতিটি অলিগলি থেকে,
স্কুল,কলেজ,ইউনিভার্সিটি থেকে বের হয়ে পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণ-তরুণী মেধাবীদের দল।
আরও বের হতে থাকে মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সকল ধর্মমতের জনতার মিছিল।
বের হয়ে যায় দেশের শিক্ষক, ডাক্তার, শিল্পী,
কবি-সাহিত্যিক, ক্রেতা-বিক্রেতা,
সাহসী দিনমজুর ও রিক্সাচালকসহ সকল
বৃত্তি ও পেশাজীবি মানুষেরা।
দূর থেকে সমর্থনে জেগে উঠে বাংলার
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়ার
প্রতিটি জোয়ান যুবক ও সাহসী কিশোরীরা।
প্রতিবাদী ও সংগ্রামী শ্লোগানের ধ্বনিতে
মুখরিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস।
দলে দলে মিছিলে-
অগণিত মানুষের কলরবে-
প্রকম্পিত হতে থাকে ঢাকার শহীদ মিনার চত্বর।
জড় হতে থাকে বাংলার সাহসী মানুষেরা।
লক্ষ লক্ষ জনতার আগমনে সৃষ্টি হলো
আরেকটি রেসকোর্স।
এই রেসকোর্স ২৪ এর অহংকার।
এই রেসকোর্স লক্ষ লক্ষ ছাত্রজনতার দাবির ফসল।
এই রেসকোর্স শহীদ ভাইদের স্বপ্নের ঐক্য।
এই রেসকোর্স বাংলার মুক্তিকামী মানুষের আশার আলো।
বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে অঙ্কিত হলো
আরেকটি রেসকোর্স।