আমি প্রবাসী কইতাছি,
মেলা দূর থাইকা আকাশের পানে চাইয়া
শৈশবের দিনগুলি খুব মনে পড়তাছে।
পুকুরে নাইমা মাছের লগে খেলাধুলা কইরা,
কাদামাখা শরীরটা আবার সাজাইতে মন চাইতাছে।
মাকে ছাইড়া কহোনো একা থাকি নাই।
অথচ, কতদিন হইয়া গেল তাকে দেখি না।
তার রান্না করা মাছের মাথা আমার ছাড়া কারো হইতো না।
সেই রান্না অহন আর চোখেই দেখি না।
আমি প্রবাসী কইতাছি,
ছোট ভাইটার লগে কত গ্যাঞ্জাম করছি।
অহন ভাইবা চোখের পানি ফেলতাছি।
মায়ের কাছে অহন আর নালিশ যায় না।
আমিও পলাইয়া থাকি না আর।
বাবার রাগের ডরে অহন আর তারে দেইখা
দৌড় দিয়া পলাইয়া যাওন লাগে না।
চোখের পানি আটকাইয়া থাকে না তার কথা মনে পড়লে।
আমি প্রবাসী কইতাছি,
নিজের কষ্টরে তুচ্ছ কইরা সবার শখ পূরণ করার লাইগা
দিনরাত খাইটা যাইতাছি।
বাবার ওষুধ, মায়ের ওষুধ, ভাই-বোনের বেতন_
মাস শেষ হইলে আমারই দেওন লাগে।
এরপর সবার মুখের হাসি দেইখা,
আমার মনটা ভইরা যায়।
আমি প্রবাসী কইতাছি,
এত দূরে থাইকাও মাঝে মাঝে
প্রিয় মানুষগুলা ভুল বুইঝা দূরে চইলা যায়।
তহন বুকের ভেতরটা কষ্টে পাহাড় হইয়া যায়।
তবুও খুশি থাইকা সকলের সুখের লাইগা
সবকিছু ভুইলা যাইতে হয়।
দিনশেষে সবার লাইগা হাত তুইলা দোয়া কইরা যাই।