"প্রকৃতির মাঝে"
- মোঃ মাহাবুল্লাহ হাসান -
আমি কাব্যের রচয়িতা বলেই তো কবি,
সাহিত্যের কারিগর হবো বলেই ভাবিও সবে।
আমি পূবের বাতাসের মিশ্রিত এক রূপ,
ছন্দ বৃত্তে মিলিয়ে দেখি সাহিত্যের মুখ।
আমি তো উত্তরবঙ্গের শৈত্যপ্রবাহের বাতাসে ভোরের কাক,
আমি তো কুয়াশার বাতাসে মিশ্রিত এক ফোটা খেজুর রস।
সন্ধ্যার বাতাসে বিদেশী পাখির ঝাঁকে খাই পাক,
আমি তো গরম পোশাকের দ্বারে থাকি ফাঁক-ফাঁক।
কুয়াশার বাতাসে উদিত সূর্যে মাঝে থাকি একপাশ,
যেন আমি দেখিতে পাই মোর দেশের চিহ্ন ভূমির বাস।
হেমন্তের বাতাসে মাঠে-মাঠে দোলিত সোনালীর বাস,
ছোট্ট খড়ের ঘরে বার-বার ফেলি শ্বাস।
আমি তো কৃষাণের মাঝি হয়ে নাঙ্গল কাঁধে ফেলে,
জেলেদের জাল টেনে পথ এগিয়ে চলি।
ক্ষীণ রাত্রি বেলা, মৃদু কুয়াশায় এক পূর্ণিমার খেলা,
গৃহ-ছন্ন হয়ে দেখি খেক-শিয়াল গুলা।
সন্ধ্যার আকাশে এক দর্শী হয়ে,ভবে রাখি বাতাসে,
মিলে যাব একদিন প্রকৃতির সন্নিকটে।