কেন এই বিলাপ?
আঁধারের বুকে ধূসরের আহাজারি!
ভোরের অপেক্ষা করতে করতে
যে জীবন, যৌবনেই বার্ধক্য ছুঁয়ে দিয়েছে
তাকে চলতে দাও।
গল্পের বয়ানে কমা বসানো জীবনে
আর কোনো বিরতি না আসুক।
যদি ইচ্ছেই থাকে, তবে
কোন এক আড়ম্বরহীন দীর্ঘশ্বাসে
সে জীবন তার গল্পে পূর্ণচ্ছেদ বসাবে।
ভালোবাসি বলতে বলতে যে জিহ্বা
শুষ্কতায় লালার খোঁজে ব্যস্ত
তাকে থামিয়ে দাও, সাবধান করো,
প্রয়োজনে সাইরেনের আশ্রয়ে জানিয়ে দাও
পরিকল্পিত পথ শ্বাপদসংকুল।
গৌরবের আচ্ছাদনে দৃষ্টিসীমানায় ভিড় করছে
বিকৃত মনের খর্বিত মাথা, মাথায় দুশ্চিন্তা
কূটকৌশলের মানহীন ফাঁদ।
পাখি-জাগা ভোরের আগে
যদি কানে ভেসে ওঠে সুরের আবেদন
কণ্ঠকে মুক্ত কোরো না, ভেসে যেও না,
জগতের সব সুরই যে অসুরের শক্তি নিয়ে
ধ্বংসের পথে আগুয়ান।
একটা নীল ভোরের আচ্ছন্নতার মাঝেও
অজানার সন্দেহময় সকালের প্রত্যাশায়
এ ছুটে চলা যে অসীমের দিকে।
কার্নিশে হাত রাখা প্রেয়সীতে আটকানো
টিকটকার যুগের রমণীরা কি আর তা বোঝে?
যদি দূর্বোধ্যতা বিচ্ছুরিত হয়,
বার্নিশে মেশা তারপিন বা
লিপ্সটিক-লিপগ্লোসমার্কা চাটুকারি রেখে
প্রাকৃতিক ভেজসে ভেবে 'ভালোবাসি' বলো,
রুক্ষ-ক্ষুধার্ত জিহ্বা সুখী আত্মার গানের নেশায়
অভুক্ত, ক্ষুধার্ত ও অস্থির
তাকে একটুখানি জল-খাবার দাও।