জানিনা কেন এসেছে আমার ঘরে পাখি
আমার পড়ার  টেবিলে পাখি!  
আমি তো করিনি তার মতন ডাকাডাকি !
তবে কেন এলো আমার ঘরে পাখি ?

জানালাটি খোলা ছিল দক্ষিণের
ক্লান্তি মুহূর্ত নিয়ে শুয়েছিলাম বিছানায় জানালার দিকে ফিরে,
কোথা থেকে আসেছে পাখি পেলাম না কিছু ভেবে ?
এতো সুন্দর পাখি দেখিনিতো আগে!
তবে পাখি ! পাখি দেখতে আসলো কাকে!

নাম কি পাখিটির, কেনোইবা এসেছে পাখি !
কাছে গেলাম পাখির গেলো নাকো উড়ে
কিছু সময় ছিল পাখি আমার আশে পাশে ।  
  
পাখি বসেছে আমার টেবিলে, চেয়ারে
তবে একটু ও করেনি ডাকাডাকি ।
কেমন এ পাখি , কি নিয়ে এসেছে আমার ঘরে ?
সুখ না কি দুঃখ, নাকি দেখতে এসেছে আমায় ?  
এতো সুন্দর পাখি যেনো সুখের পরশ দিলো
বুঝতে পারলাম এ বুঝি সুখ পাখি ।

আজ নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হলো
নতুবা কেনো এল আমার ঘরে অচেনা পাখি ,
কেউতো এমন আসেনা অচেনা হয়ে
আমার ঘরে আসলো শুধু পাখি ।

আমি অবাক হয়ে গেলাম
পাখিটি কে আমার জানালায় দেখে ,
আমার টেবিলে দেখে,  
আমার আশে পাশে ঘুরতে দেখে ।
  
ওর কি কোন ভয় ছিলনা!
এতো সাহস নিয়ে কি ভাবে আসলো আমার ঘরে?
আমি তো ডাকিনি আসতে,
কোন অধিকারে আসলো পাখি ?

তবে কি  কবিদের ভালবাসা কম হয়েছে আমার জন্য
তাই ভালবাসার হাত বাড়িয়ে এসেছে পাখি ,  
তবে আমার ভালবাসা সবার জন্য
সমান হয়ে করে কোকিলের মত ডাকাডাকি ।

আমি না হই কবিদের,  
তবে কবিরাই আমার দুই নয়নের আঁখি ,  
তাই তো খুঁজি কবিতার ছলে
ভেজাতে অশ্রু ভরা এই দুই আঁখি ।

আমি যে কবিদের কবিতার পাখি
খুঁজে ফিরে চলি কবিতা
মনের মত পেলে করি ডাকাডাকি ।

[কবিতাটি আবৃত্তি শিল্পী বদরুল আহসান খান কে নিয়ে লেখা । একটি পাখি উনার ঘরে এসেছে দেখতে উনাকে ভালবাসার হাত বাড়িয়ে,  তাই পাখির প্রতি উনার ভালবাসা রেখে কবিতাটি লিখলাম । আল্লাহ যেনো উনাকে দীর্ঘ জীবী করেন । ]