মাতৃভূমি তোমার পদতলে আমি,
তোমার জন্য ফিরে চলে আসি
মনে পড়লে থকিনা আমার মাঝে আমি ।
তুমি যে আমার হৃদয়ের শুধা
তোমারি হাওয়া গাঁয়ে লাগলে
চলে যায় আমার ক্ষনিকের ক্ষুধা ,
শুনি বসে ভরা দুপুরে পাখির কলকলানি ।
এত সুন্দর কোকিলের ডাক শুনি নাই কোথাও আগে
আমারি শব্দ শুনে বুজি কোকিল কুহু কুহু বলে ডাকে ।
ফিরে পাই কত সুখ, যখন কোকিলের সাড়া আসে,
সারা শরীরে শিহরিত হয়ে আনন্দের জল চোখে ভাসে ।
এত সুন্দর ভূমি, আমি ফেলে ছিলাম বুঝি একা ,
ইট বালি আর সিমেন্টের বন্ধী ঘরে চলে ছিলো কত কথা।
কিছু মনে নাহি, মনে আছে তবে
আমার শৈশবের সেই কথা ।
সারা গাঁয়ে আমার লেগে থাকতো কত ধূলা বালি
বাড়ি আসলে শুনতে হতো মায়ের শুকনো গালালি ।
তবুও থাকতো ধুলো মাখা শরীর যতই করিত সাফ
বাবার সামনে পড়লে পেয়ে যেতাম তখন মায়ের হাত থেকে মাফ।
তবে বলো তোমাকে ফেলে আমি কি থাকতে পারি ?
শহরের সেই অট্টালিকার বাড়ি।
তায় চলে এসেছি আবার আগের মতন
তোমার ধুলো গাঁয়ে লাগাতে, কোকিলের কন্ঠে গান শুনতে
এ পথ থেকে ও পথে ঘুরে বেড়াতে।
এখন আর করবেনা শাসন
বলবেনা কেহো ধুলো মেখে বাড়ি এলি?
যে বলতো সেতো আমাদের রেখে গেছে চলি ।