বয়স এখন মাত্র আশি;
যৌবন হয়ে গেছে বাসী।
আজও পারিনি ভুলতে;
জরিনার সেই মিষ্টি হাসি।
জরিনা ছিল আমার পরশি
হাসলে পড়তো গালে টোল;
মিষ্টি চেহারা দেখতে গোল,
একদিন না দেখলে পাগল।
আম্র শাঁখে বেঁধে পিরি,
খেয়েছি দোল একসাথে।
একসাথে কুড়াইছি আম,
ঘূর্ণিঝড়ের সেই রাতে।
বিলের শাপলা শালুক তুলে,
গেঁথেছিনু শাপলার মালা;
শাপলার মালা গলায় দিয়ে,
হাতে দিলাম স্বর্ণ লতার বালা।
ঘুঘু পাখির বাসা থেকে,
চুরি করে এনেছিনু ছানা;
সখিনার হাতে দিলাম,
খুশিতে ভরা চোখ দু'খানা।
ঠোঁটের ওপর কালো তিল,
এখনো হৃদয়ে জ্বলজ্বল।
অনেকবার ধরেছিলাম,
করেছিলাম নানা ছল।
কিশোর বেলার সেই স্মৃতি,
আজও দোলা দেয় মনে।
নিভৃত নিরালা দুপুর বেলা,
তারা দেখা দেয় ক্ষণে ক্ষণে।
স্মৃতি বড়ই নিষ্ঠুর দুর্বাসা,
শোনেনা বারণ মানেনা মানা।
হৃদয়ের মধ্যিখানে বাঁধে বাসা,
জানালা খুললে দেয় সে হানা।
তারিখ: ২১-০৭-২০২৩ ইং;